📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: শেষ পর্যন্ত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে অর্থাৎ রাত ১২ টার পর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। তবে এই প্রথম রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সময় শহিদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন না সরকার প্রধান। রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বর থেকে ফিরে যাওয়ার পর সেখানে যান প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।
প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রপতিকে এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনের প্রতি অনাস্থার বার্তা দিতেই এই শিষ্টাচার বিরোধী পদক্ষেপ করেছেন ইউনুস। শুধু প্রধান উপদেষ্টাই নন শহীদ মিনার চত্বরে উপস্থিত উপদেষ্টারা কেউই শিষ্টাচার মেনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেননি। এমনকি সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান সহ তিন বাহিনীর রাষ্ট্রপতির দিকে এগিয়ে যাননি। রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন পুষ্প স্তবক অর্পণের পর মাথা নীচু করে অদূরে অপেক্ষমান গাড়িতে উঠে বঙ্গভবনে ফিরে যান। তিনি ফিরে যাওয়ার মিনিট সাতেক পর আসেন প্রধান উপদেষ্টা।
এবার রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠনের কর্মসূচি ঘিরে মানুষের সংশয় আরও বেড়েছে। একটি সংগঠন ভাষা শহিদ স্মারক যেখানে রয়েছে, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। সেই চত্বর অবরোধ করেছিল। তাঁদের দাবি ছিল, রাষ্ট্রপতিকে এবছর তারা পুস্পস্তবক দিতে দেবেন না।
প্রসঙ্গত, ১৯ তারিখে কতিপয় মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জমায়েত করে ঘোষণা করে, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে এবার শহিদ মিনারে পুস্প স্তবক দিতে দেওয়া হবে না। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তিনি অনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ও তিনি পতিত সৈরাচার শেখ হাসিনার নিয়োগ করা রাষ্ট্রপতি ফলে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আমরা তাঁকে মানি না।
