পদপিষ্টের ঘটনায় রেলের জবাব তলব দিল্লি হাইকোর্টের

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে হওয়া পদপিষ্টের ঘটনায় এ বার কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে রেল। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধেয় কেন অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করেছিল রেল? রেলের অতিরিক্ত টিকিট বিক্রির কী প্রয়োজন পড়েছিল, তার জবাব জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন ধরতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১৮ জনের। আহত হন বেশ কয়েকজন। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রুখতে সুরক্ষার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এ দিন তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন রেল কর্তৃপক্ষ।দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেডেলার ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল পদপিষ্টের দুর্ঘটনা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার। সেই মামলাতেই রেলওয়ে-এর কাছে জানতে চাওয়া হয় ট্রেনের একটা কামরায় যত লোক যেতে পারে, তার থেকেও কেন এত বেশি টিকিট বিক্রি করা হল? বিপদের কথা না ভেবে কেন এত বেশি টিকিট বিক্রির প্রয়োজন পড়লে প্রশ্ন তুলে তিরস্কার হাইকোর্টের। উল্লেখ্য, রিপোর্ট বলছে ঘটনার দিন সন্ধের পর আনরিজার্ভড টিকিটিং সিস্টেম থেকে জেনারেল কোটায় অতিরিক্ত ২৬০০ টিকিট বিক্রি হয়েছিল।ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘যদি প্রতি কোচের যাত্রী সংখ্যা যদি আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে রাখা থাকে সেখানে কেন এক্সট্রা টিকিট বিক্রি করা হল? এখানেই তো সমস্যা।’ এখানেই শেষ নয়, উষ্মা জানিয়ে বিচারপতি তুষার রাও গেডেলা জানতে চায়, ‘সেদিন প্ল্যাটফর্মে কত লক্ষ মানুষ উপস্থিত ছিলেন আপনাদের কোনও ধারণা আছে? পরিকাঠামোগত ভাবে এই ভিড় সামলানো সম্ভব নয়। কোনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কি? দেখে মনে হচ্ছে, রেলওয়ের গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনা।’রেলওয়ে অ্যাক্টের সেকশন ৫৭ তুলে ধরে হাইকোর্টের নির্দেশ, ‘অবিলম্বে সর্বোচ্চ যাত্রী ও সর্বোচ্চ প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রির কোটা বাঁধতে হবে।’ একইসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, পজিটিভ ভাবে কিছু জিনিস খেয়াল রাখলেই এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেডেলার ডিভিশন বেঞ্চে ভর্ৎসনার মুখে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা রেলওয়ের তরফে জানান, কোর্টের দিক নির্দেশ মেনে রেলওয়ে বোর্ড সব বিষয় খতিয়ে দেখবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ মার্চ। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিল্লি পদপিষ্টের ঘটনায় আরপিএফ-এর রিপোর্টে রীতিমতো কাঠগড়ার রেল। অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি ছাড়া স্টেশনের ঘোষণায় বিভ্রান্তিকেও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।