📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: নিম্নচাপ সরেছে । বৃষ্টিও বন্ধ । কিন্তু, এখনও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । লাখ লাখ কিউসেক জল ছাড়ছে ডিভিস । সোমবার থেকে শুরু হয়েছে । মঙ্গল ও বুধের পর বৃহস্পতিবারও ফের দুই জলাধার থেকে জল ছাড়াল ডিভিসি । তবে জল ছাড়ার পরিমাণ গত দু’দিনের তুলনায় কমেছে ।
বুধবারই মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয় । বৃহস্পতিবার প্রায় ১ লাখ কিউসেক কম জল ছাড়া হয়েছে । ডিভিসি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে মোট ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে । তার মধ্যে মাইথন থেকে ১০ হাজার এবং পাঞ্চেত থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে । এর আগে মঙ্গলবার মাইথন থেকে জল ছাড়া হয়েছিল ১ লক্ষ ৬০ হাজার কিউসেক । বুধবার সকালে মাইথন থেকে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে । অন্যদিকে, পাঞ্চেত থেকে মঙ্গলবার জল ছাড়া হয়েছিল ১ লাখ ৭০ হাজার কিউসেক । বুধবার জল ছাড়া হয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক ।
ডিভিসি জল ছাড়ার পর তা দামোদর নদ হয়ে দুর্গাপুর ব্যারেজে যায় । এদিকে, ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে দামোদর ও মুন্ডাশ্বরীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে । দামোদর নদের দুই ধারে সব জায়গা জলমগ্ন । ঘরছাড়া বহু মানুষ । বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলির একাধিক এলাকা ।
বুধবারই বানভাসী জেলাগুলির পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী । প্রথমে হুগলির পুরশুরা, তারপর যান পশ্চিম মেদিনীপুরে । মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এ বারে জল বেশি ছাড়া হয়েছে। ২০০৯ সালের পর এত জল আর ছাড়া হয়নি। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে ডিভিসি ঝাড়খণ্ডকে বাঁচায়। সব জল ছেড়ে দেয়। এ বারে হাত জোড় করে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তাঁরা স্তম্ভিত। এটা ‘ম্যান মেড’ বন্যা। বাংলাকে ইচ্ছা করে বঞ্চনা করা হচ্ছে।
রাজ্যের তরফে বারবার এই ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছিল ডিভিসিকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যের কথা কানেই তোলা হয়নি। আর এই কারণে পুজোর আগে বাংলাকে ফের ম্যান মেড বন্যার মুখে পড়তে হল। অর্থাৎ আবারও একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।