মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলে আমেরিকার নামে রাখা হবে, দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের


📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ করার পরিকল্পনার কথা জানালেন আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকো থেকে অনুপ্রবেশ এবং অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরই সঙ্গে উপসাগরের নাম বদল নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘আমেরিকা উপসাগর (গালফ অফ আমেরিকা) শুনতে ভালো লাগে বেশি। এই নামটা কী সুন্দর। এটাই আদতে ঠিক।’ এরপর মেক্সিকো নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘মেক্সিকো খুব বিপজ্জনক স্থান। ওরা অনেক সমস্যায় পড়বে।’ উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেস থেকে নিজের জয়ের সার্টিফিকেট পেয়েছেন ট্রাম্প। এরপর ফ্লোরিডায় নিজের ব্যক্তিগত বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, ‘এভাবে লাখ লাখ মানুষকে আমাদের দেশে পাঠানো বন্ধ করুক মেক্সিকো। আমরা মেক্সিকো এবং কানাডার ওপরে শুল্কের বোঝা চাপাব। কানাডা দিয়েও অনেকে অনুপ্রবেশ করে আমেরিকায়। এদিকে প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত পার করে রেকর্ড পরিমাণ মাদকও আমেরিকায় প্রবেশ করছে।’ এদিকে মেক্সিকো উপসাগরের নাম নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে ট্রাম্পের বক্তব্য, এই উপসাগরে ‘বেশির ভাগ কাজ’ আমেরিকাই করে। আর এই উপসাগরের নাম বদল করা উচিত, কারণ এটা নাকি আমেরিকারই। এদিকে ট্রাম্পপন্থী কংগ্রেস সদস্য মারজোরি টেলর গ্রিন নাকি এই উপসাগরের নাম বদল করার প্রস্তাব পেশ করবেন কংগ্রেসে। অবশ্য আমেরিকায় এই নাম পরিবর্তন হলেও বিশ্বের সবাইকে যে তা মেনে চলতে হবে এমন কোনও নিয়ম নেই।এর আগে মজা করে কখনও কানাডা দখল করে নেওয়ার ‘ইঙ্গিত’, কখনও গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন ট্রাম্প। আবার কখনও পানামা খাল পুনর্দখলের বার্তাও দিয়েছেন এই রিপাবলিকাননেতা। প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক বার্তায় হৃদস্পন্দন বাড়ছে বিশ্বের। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েই তিনি কানাডার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছেন। জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা করার সময় মজার ছলে আবার তাঁকে ‘গভর্নর’ বলে সম্বোধন করেছিলেন ট্রাম্প। আবার কখনও পানামা খাল পুনর্দখলের বার্তাও দিয়েছেন এই রিপাবলিকাননেতা। প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক বার্তায় হৃদস্পন্দন বাড়ছে বিশ্বের। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েই তিনি কানাডার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছেন। জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা করার সময় মজার ছলে আবার তাঁকে ‘গভর্নর’ বলে সম্বোধন করেছিলেন ট্রাম্প। সম্প্রতি ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা করলে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘কানাডার অনেকেই আমেরিকার ৫১তমপ্রদেশহতে ইচ্ছুক।’ এদিকে তাঁর নিশানায় কানাডা ছাড়াও আছে মেক্সিকো। এর আগে এর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসে প্রথম যে নির্দেশগুলি তিনি দেবেন, তার মধ্যে অন্যতম হল মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারি আমদানি শুল্ক চাপানো হবে।

error: Content is protected !!