📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: পহেলগাম হামলার প্রত্যাঘাত হানল ভারত। পাকিস্তানের একাধিক এলাকা ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে আক্রমণের জেরে বিপাকে পড়শি মুলুক। ধূলিস্যাৎ ন’টি জঙ্গি ঘাঁটি। অন্তত ৯০০ জঙ্গিকে খতম করে বদলা নিয়েছে ভারত।
এই অপারেশন সিঁদুরের প্রভাব পড়েছে দেশের বিমান পরিষেবায়। আগাম হামলার কথা মাথায় রেখে পাকিস্তান সীমান্ত-লাগোয়া জম্মু, শ্রীনগর, লে, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় ও রাজকোটের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তমতে, এই সমস্ত এয়ারপোর্টে আগামী ১০ তারিখ বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কোনও বিমান ওঠানামা করবে না।
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিমান সংস্থা তাদের উড়ান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার জেরে বিপাকে পাঞ্জাব কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বই ইন্ডিয়ানসের মতো একাধিক দল। ধর্মশালায় আগামিকাল পাঞ্জাব ও দিল্লি মুখোমুখি হবে। সামনের সপ্তাহের গোড়ায় ম্যাচ খেলতে মুম্বইয়ের পৌঁছনোর কথা। এগুলি নির্ধারিত সূচি মেনেই অনুষ্ঠিত হবে নাকি বদলানো হবে, এই নিয়ে ধোঁয়াশা জমে উঠেছে।
সর্বশেষ খবরে, কালকের ম্যাচে কোনও রদবদল হয়নি। পাঞ্জাব-দিল্লি ধর্মশালায় মুখোমুখি হবে। সেক্ষেত্রে ধর্মশালা বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় বিসিসিআইয়ের উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী দলের সমস্ত সদস্যদের ঘুরপথে পরের গন্তব্যে পাঠানো হবে।
দিল্লি, পাঞ্জাবের আসা নিয়ে অসুবিধে নেই। তারা ইতিমধ্যে ধর্মশালা চলে এসেছে। সমস্যা ফেরা নিয়ে। তা ছাড়া ১১ মে-র ম্যাচ খেলতে মুম্বই কীভাবে উপস্থিত হবে, তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ধর্মশালা তো বটেই, নিকটবর্তী চণ্ডীগড় বিমানবন্দরও ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ। তাই মুম্বই খেলোয়াড়রা কী করবেন, তাদের ম্যাচের দিনক্ষণ কি বদলে ফেলা হবে—প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। হার্দিক পান্ডিয়ারা আপাতত মুম্বইয়ে। গতকাল গুজরাত ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর পরাস্ত হয়েছেন।