📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: একুশের বিধানসভা ভোটের আগে আচমকা দল বদলে বিজেপিতে গিয়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। কয়েক মাসের মধ্যেই পদ্মশিবিরের মোহ কাটিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন শোভন এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিন্দুকেরা বলে থাকেন, ভোটের টিকিট না পেয়েই মোহভঙ্গ হয়েছিল তাঁদের।
সেই থেকে সক্রিয় রাজনীতি থেকে বহু ক্রোশ দূরে তৃণমূলের কানন। ছাব্বিশের ভোটের আগে কি তাঁকে আবার দেখা যাবে তৃণমূলের মঞ্চে? অনেকের মতে, রাজনীতির অভিধানে ‘অসম্ভব’ বলে কোনও কথা নেই। যদিও অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত দুটি একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের আগেও এমন জল্পনা চড়েছিল। তবে এবারের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।
‘অরাজনৈতিক’ শোভনের সঙ্গে তৃণমূলের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্স মামলা চলছে। শুক্রবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে কলকাতা হাইকোর্টে চলল সেই মামলা। তার চেয়েও নজিরবিহীন শোভনের হয়ে হাইকোর্টে টানা ৪৫ মিনিট সওয়াল করলেন তৃণমূল সাংসদ-আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সওয়ালে দলের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই বড় অভিযোগ এনেছেন কল্যাণ। দাবি করেছেন, ‘রত্না প্রভাবশালী, ইচ্ছে করে শোভনকে ডিভোর্স দিচ্ছেন না’!
দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে কল্যাণের এমন সওয়াল শুধু নজিরবিহীন নয়, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণও। অনেকেরই মতে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বর ‘অনুমতি’ ছাড়়া এভাবে শোভনের হয়ে কল্যাণ লড়েননি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দুঁদে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়ালে আপ্লুত শোভন চট্টোপাধ্যায়ও।