📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সঞ্জয় রায়। শনিবার রায় দিতে গিয়ে শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস জানান, এই অপরাধে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে দোষীর। সেই সাজা ঘোষণার আগে রবিবার সংবাদমাধ্যমকে ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিকের পুত্র মহাদেব মল্লিক জানালেন, সঞ্জয়ের ফাঁসির শাস্তি হলে তা কার্যকর করতে তাঁর হাত কাঁপবে না। তিনিও মৃত্যুদণ্ড চান অভিযুক্তের।আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের পর তদন্তে নেমেই সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। সেই সময় পুলিশের কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ দাবি করে, পুলিশ নয়, সিবিআই চাই। সেই সিবিআই আর জি কর কাণ্ডে মূল দোষী হিসেবে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধেই চার্জশিট জমা দেয়। সেই চার্জশিট খতিয়ে দেখেই শিয়ালদহ কোর্ট শনিবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। সোমবার যার সাজা ঘোষণা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ফাঁসির সাজা দিতে পারেন বিচারক।ফাঁসি সাজা কার্যকর করতে হলে যাঁর খোঁজ পড়বে তিনি নাটা মল্লিকের ছেলে মহাদেব মল্লিক। কলকাতা পুরসভার কর্মী মহাদেব। ২০০৪ সালে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির সময় প্রেসিডেন্সি জেলে বাবার সহকারী ছিলেন তিনি। এদিন মিডিয়া তাঁর কাছে জানতে চায়, সঞ্জয়কে ফাঁসির শাস্তি দেওয়া হলে, তা কার্যকর করতে তিনি প্রস্তুত কি না? উত্তরে মহাদেব জানান, সরকারি তলব পেলেই কর্তব্য করবেন। বাবার থেকে শেখা বিদ্যা প্রয়োগ করবেন। ‘অসুবিধা হবে না।’ একজন চিকিৎসককে হত্যা করায় একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহাদেব। তাঁর বক্তব্য, ডাক্তার সকলের প্রাণ বাঁচান, তাঁকে হত্যা করে যে, তার প্রতি মায়া থাকা সম্ভবই না। অন্যদের মতো তিনিও সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ড চান, সেকথাও জানান।মহাদেব মল্লিকের সাফ কথা, সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা হলে, তা কার্যকর করতে গিয়ে তাঁর হাত বা বুক কাঁপবে না। উল্লেখ্য, ধনঞ্জয়ের আগে ১৯৯১ সালে নিজের কাকার গোটা পরিবারকে খুনে অভিযুক্ত কার্তিক শীল আর সুকুমার বর্মনের জোড়া ফাঁসির সাজা কার্যকর করেছিলেন মহাদেব। যদিও দুই ক্ষেত্রেই বাবা নাটা মল্লিকের সহকারি ছিলেন তিনি।
সঞ্জয়কে ফাঁসিতে ঝোলাতে একটুও হাত কাঁপবে না? কী জানালেন নাটা মল্লিকের ছেলে?
