📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ১৯৭০-এর দশক। কংগ্রেসের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। তখন কে জানত নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা যোগেশচন্দ্র কলেজের আইনের ছাত্রীই আগামী দিন বাংলা তথা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনীতিক হয়ে উঠবেন।
৯৮ এ কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করেছিলেন প্রয়াত গায়েত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সাল থেকে তিনিই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ১ জানুয়ারি তাঁর হাতে গড়া দল ২৬ পেরিয়ে ২৭ এ পা দিতে চলেছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এদিন নবান্নের সভাকক্ষে সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতে দলের এই প্রতিষ্ঠা দিবসের কথা জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি চেয়ারে বসে যে এভাবে দলীয় অনুষ্ঠানের কথা বলা ঠিক নয়, তা বিলকুল জানা আছে তাঁরও।
নিজেই সেকথা জানিয়ে মমতা বলেন, ” পয়লা জানুয়ারি সরকারি ছুটির দিন। ওই দিন আমাদের দলেরও প্রতিষ্ঠা দিবস। ২৬ পূর্ণ করে ২৭ এ পা দিচ্ছে। আমি দলের কথা কখনও এখানে বলি না। তবে আমরা যেহেতু বলি মা-মাটি-মানুষের সরকার। আবার দলের তরফেও ওই দিন আমরা মা-মাটি মানুষ দিবস পালন করি। তাই একথা বললাম।”
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যুড়ে অসংখ্য রক্তদান শিবিরের আয়োজন করবেন দলের কর্মীরা এবং সাধারণ মানুষ। ওই শিবির থেকে অন্যান্য বারের মতো এবারেও ১ লক্ষ প্যাকেট রক্ত সংগ্রহ করা হবে। যা দুর্ঘটনাগ্রস্ত এবং অসহায় মানুষের সেবায় ব্যবহত হবে। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে আসন্ন বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে রাজ্যবাসীকে আগামী হ্যাপি নিউ ইয়ারের শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতা বলেন, “সকলে ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।”
২০২৬ সালে রাজ্যের বিধানসভা ভোট। দলীয় সূত্রের খবর, সে কারণে ২০২৫ সালকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে শাসকদল। ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে এক মাস ব্যাপী একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে শাসকদল। সাংগঠনিক ফাঁকফোকর ভরাটের পাশাপাশি জন প্রতিনিধিদের আরও বেশি করে নাগরিক পরিষেবার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে এবং প্রতিটি কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।