📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: শুরু থেকে টক্কর হয়েছে সেয়ানে সেয়ানে। লড়াই এতটাই রুদ্ধশ্বাস পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, ফয়সালার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হয়েছিল ১৪তম গেম পর্যন্ত। তবে সিঙ্গাপুরে বৃহস্পতিবার শেষ হাসি হাসলেন ভারতের দাবাড়ু ডি গুকেশ।চীনের প্রতিপক্ষ তথা বিদায়ী বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনকে হারিয়ে মুকুট জিতে নিলেন ভারতীয় দাবাড়ু। মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে নজির গড়লেন গুকেশ। তিনিই দাবায় সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেন। কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দের পর গুকেশই ভারত থেকে দাবার দ্বিতীয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
কিংবদন্তি দাবাড়ু গ্যারি কাসপারভের রেকর্ড ভেঙে দিলেন গুকেশ। ১৯৮৫ সালে ২২ বছর বয়সে দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন গুকেশ। রাশিয়ার দাবাড়ুই এতদিন ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সেই কীর্তি ছাপিয়ে নতুন মাইলফলক গড়লেন গুকেশ।
বৃহস্পতিবারের আগে পর্যন্ত গুকেশ ও ডিং – দুজনেরই ঝুলিতে ছিল ৬.৫ পয়েন্ট করে। ১৩ গেমের পর। ১৪তম গেমে সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ডিং। যিনি খেতাবরক্ষার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হচ্ছিল যে, ড্রয়েই সন্তুষ্ট থাকবেন ডিং। কিন্তু ৫৩তম চালে বড় ভুল করেন চীনের দাবাড়ু। শেষ পর্যন্ত গুকেশের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেন তিনি।
ইতিহাস তৈরি করে গুকেশ বলেছেন, ‘আমার জীবনের সেরা দিন।’ শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ফল দাঁড়ায় গুকেশের পক্ষে ৭.৫-৬.৫। ক্লাসিকাল দাবায় ১৮তম বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেন গুকেশ। সর্বকনিষ্ঠ তো বটেই।
ডিং ৫৩তম চালে ভুল করার পর আবেগ গোপন করতে পারেননি গুকেশ। তিনি জলপানের বিরতি নেন। মুখে ততক্ষণে হাসি। তিনি বুঝেই গিয়েছিলেন যে, তাঁর মাথায় মুকুট ওঠা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তাঁর গাল বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছিল জল। আনন্দাশ্রু। ম্যাচ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন ডিং। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের সিংহাসনচ্যুত হলেন তিনি।
শেষ গেমের আগে বিশ্বনাথন আনন্দের মতো কিংবদন্তিও পূর্বাভাস করেছিলেন, ড্র হতে চলেছে এই গেম। যদিও গুকেশের চালে চাপে পড়ে গিয়েই ম্যাচ হাতছাড়া করলেন চীনা দাবাড়ু।
প্রথম গেম সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলেও হেরে গিয়েছিলে গুকেশ। তৃতীয় গেম জিতে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। গুকেশ ও ডিং পরপর সাতটি গেম ড্র করেন। ১১তম গেমে ডিংকে হারিয়ে চমক দেন গুকেশ। তবে দ্বাদশ গেমে সাদা ঘুঁটি নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান ডিং।