📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সৈকতনগরী দিঘায়। গতকাল এসেছেন। আর আজ বুধবার সকাল থেকে নানা কাজের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তবে দিঘায় নেমেই জনসংযোগ করতে শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মহিলা, শিশুদের সঙ্গে হালকা মেজাজে দেখা যায় তাঁকে। শিশুদের কোলে নিয়ে আদরও করেন। আজ, বুধবার জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করে মন্দিরের কাজকর্ম কেমন হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তখনই ঘোষণা করতে পারেন মন্দির উদ্বোধনের তারিখ। ২০২৫ সালে সাধারণ মানুষের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হতে পারে। তবে শুধু মন্দিরের নির্মাণকাজ খতিয়ে দেখা নয়, নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ঘুরে দেখতে পারেন আশেপাশের গ্রামগুলি।
এদিকে পুরীর ধাঁচে জগন্নাথ মন্দির দিঘায় তৈরি হচ্ছে। যা এখন প্রায় শেষ। আর এটা খুলে দেওয়ার পরই পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। সমুদ্রসৈকতের সঙ্গেই মিলবে জগন্নাথ দেবকে পুজো করার সুযোগও। ২০১৯ সালে দিঘায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন মন্দিরের নকশা দেখিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, ‘আর একটা জগন্নাথ মন্দির করে দেব। পর্যটনের সঙ্গে ধর্মীয় স্থান থাকে। রিলিজিয়স ট্যুরজিমও হয়।’ ২০২২ সালে ভূমিপুজো করে শুরু হয় জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ। দিঘায় আসার আগে ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে তিনি ঘোষণা করেন, বাংলা ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি শৈলেন মান্নার নামে রাস্তার নামকরণ করা হবে। ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের নাম বদল করেই ফুটবলার শৈলেন মান্নার নামে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন সুপ্রকাশ গিরি, কাঁথি সংগঠনিক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পীযুষ কান্তি পণ্ডা, জেলা মহিলা সভানেত্রী মুক্তারুন বিবি–সহ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বরা। মুখ্যমন্ত্রী আগে আশ্বাস দিয়েছিলেন, আগামী বছর অর্থাত্ ২০২৫ সালে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রা পালন করা হবে। সেই প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। আর সেটাই সরেজমিনে দেখে নিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘায় পৌঁছেই জেলার নানা বিষয়ে খোঁজখবর নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিকপ্টার থেকে নেমে জনসংযোগের পর মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে যান ‘দিঘি’ সরকারি আবাসনে। আর সেখানেই রাত্রিবাস করেন তিনি। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।এছাড়া মন্দির উদ্বোধনে পর মন্দিরের কাজ পরিচালনা কেমন করে চলবে সেটা চূড়ান্ত করতেই দিঘায় গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দির যাবতীয় দায়িত্ব ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। মন্দিরে জগন্নাথদেবের পাথরের মূর্তির পাশাপাশি থাকবে নিমকাঠের মূর্তিও। সেখানে নিত্য়পুজো হবে। সেই পুজো–সহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা যাতে ভালভাবে পরিচালিত হয়, সেটা দেখতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই দিঘা সফর। এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দির গড়ে উঠছে। ওই মন্দিরের প্রস্তুতি শেষলগ্নে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান এবার রথযাত্রা যেন দিঘা থেকে হয়। রথযাত্রা ৬ মাস বাকি রয়েছে।’