📝শুভদীপ রায় চৌধুরী , Todays Story: দীর্ঘ দুবছর পর আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এই আমদানির ফলে ওপার বাংলার বাজারে দাম কমে আসবে বলেই দাবি আমদানিকারকদের। সোমবার দুপুরে ভারত থেকে চাল বোঝাই ট্রাক সেদেশে প্রবেশ করে। পশ্চিমবঙ্গের ঋত্বিক এন্টারপ্রাইজ এ চাল রপ্তানি করেছে বলেই খবর। বছর দুই-আড়াই ধরে বাংলাদেশের বাজার অগ্নিমূল্য। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে রীতিমত হাত পুড়ছে সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েক দফায় ডিম, পিঁয়াজ, আলু, কাঁচালঙ্কা পাঠিয়েছে ভারত।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সাইরাম ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এই চাল আমদানি করছে। দুটি ট্রাকে ৯০ টন চাল আমদানি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। প্রতি টন চাল ৪১০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হয়েছে। সোমবার খুচরো বাজারে আটাশ জাতের চাল ৫৮টাকা, সম্পা কাটারী জাতের চাল ৬৮ টাকা, স্বর্ণা জাতের চাল ৪৮ টাকা এবং জিরাশাইল জাতের চাল ৬৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ বিষয়ে আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, দেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এখনও পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ জন আমদানিকারক ৯১ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। প্রচুর পরিমাণ এলসি করা হয়েছে। এতে চালের বাজারের দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে। আমদানিকৃত প্রতি কেজি চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হবে বলেই জানান ব্যবসায়ীরা। আমদানিকারকদের কথায়, দেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং সোমবার থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা সাধারণের, এই পরিস্থিতিতে দফায় দফায় চাল, ডিম, আলু পাঠাল ভারত

