জীবন্ত অবস্থায় পোড়ানো হয় তরুণীকে, ময়নাতদন্তে দাবি চিকিৎসকের, পুলিশি হেফাজতে রাহুল

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কৃষ্ণনগর তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নয়া তথ্য। পরিবারের দাবি মেনে বৃহস্পতিবার হয়েছে ময়নাতদন্ত। পরিবার দাবি করেছিল, ময়না তদন্তের সময় উপস্থিত থাকতে হবে বিচার বিভাগীয় বিচারককে। থাকতে হবে একজন ভিডিও গ্রাফারকে। সেই দাবি মেনেই কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে হয়েছে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত। হাসপাতালের চিকিৎসক সৌম্যজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘটনায় জীবিত অবস্থায় জ্বালানো হয় তরুণীকে। অ্যাসিড দিয়ে পোড়ানোর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন। সব কাজ মিটলে তদন্তকারী আধিকারিককে সব জানানো হবে বলে জানান তিনি।

কৃষ্ণনগরের ঘটনায় এদিনই জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথের নেতৃত্বে সিট গঠন করছেন রাজ্য সরকার। এই ঘটনার তদন্তে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে রাজ্যের গোয়েন্দাদের। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে নির্যাতিতার পরিবারের সব দাবি মানা হয়েছে। তবে, কী কারণে এই মৃত্যু, তা ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়। এই ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে বর্ণনা করে সুপ্রতীম সরকার জানিয়েছেন, পরিবার এখন গভীর শোকের মধ্যে রয়েছে। পুলিশ তাঁদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।

এই অবস্থায় কৃষ্ণনগরের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিক রাহুল বসুকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা আদালত। এদিনই ধৃতকে আদালতে পেশ করেছিল পুলিশ। আদালতে ঢোকার আগে রাহুলের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনও ভাবেই জড়িত নন। অন্য একটি ছেলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু ঘটনার দিন কেন কৃষ্ণনগর কলেজের মাঠে গিয়েছিলেন রাহুল ? ধৃত জানিয়েছেন, কলেজে মাঠে তাঁরা দুই বন্ধু ছিলেন। আর কেউ ছিলেন না।

কৃষ্ণনগরের ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই ঘটনার পিছনে রয়েছে ৪০ হাজার টাকার রহস্য। জেলা পুলিশের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি এই টাকা রাহুলের থেকে ধার নিয়েছিল নির্যাতিতা। ওই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তা নিয়ে দু জনের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই নাকি টানাপোড়েন চলছিল। ওই তরুণী নাকি সম্প্রতি বাড়িতে না জানিয়েই বেঙ্গালুরুতে প্রেমিকের কাছে গিয়েছিলেন। তবে নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে তা স্বীকার করা হয়নি।

বুধবার রাতে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্ত রাহুল বসুর পরিবারকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের মা জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে বাড়িতেই ছিলেন তাঁদের ছেলে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসেন। যদিও তরুণীর পরিবার এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।

error: Content is protected !!