দুর্গা পুজোয় সরকারি অনুদান চেয়ে গত বছরের থেকেও ২ হাজার বেশি আবেদন, নিল না মাত্র ৫৯টি পুজো

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: এখানে তিনটি বিষয় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এক, গত বার বা তার আগেও যারা অনুদান নিয়েছে এমন মাত্র ৫৯টি পুজো কমিটি এবার সরকারি চাঁদা নেয়নি, তথা ফিরিয়ে দিয়েছে। যা কার্যত কোনও শতাংশের হিসাবেও আসছে না।

দুই, রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ২ হাজার বেশি আবেদন জমা পড়েছে। অর্থাৎ সবকটি জেলা মিলিয়ে গত বছর পুজোর অনুদান চেয়ে চল্লিশ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। এবার তার চেয়ে প্রায় ২ হাজার বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

এবং তিন, বহু পুলিশ জেলায় একটিও পুজো কমিটি সরকারি অনুদানে ‘না’ বলেনি।

যেমন, বনগাঁ, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া গ্রামীণ, জঙ্গিপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি গ্রামীণ, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার পুলিশ জেলায় সরকারি অনুদান ফেরায়নি কোনও পুজো কমিটি। বীরভূম জেলাতেও সবকটি পুজো কমিটি সরকারের অনুদানের জন্য আবেদন করেছে।

কৌতূহল হতে পারে, যারা সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে তারা কারা? কোন এলাকায় বয়কট সবচেয়ে বেশি হয়েছে। রাজ্য পুলিশের পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, বিধাননগর পুলিশ জেলা এলাকায় এই সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি। গোটা রাজ্যে যে ৫৯টি পুজো কমিটি সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে তার মধ্যে ২৫টিই বিধাননগর পুলিশ জেলা এলাকায়।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বিধাননগর এলাকায় বহু পুজো কমিটির মাথায় রয়েছেন অবাঙালিরা। বিজেপির প্রভাব ও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা এখানে তুলনামূলক ভাবে বেশি। এবার লোকসভা ভোটেও বিধাননগরে তৃণমূলের সঙ্গে প্রায় সমান ভোট পেয়েছে বিজেপি।

অথচ ঘটনা হল, বিধাননগর এলাকার এই প্রতিবাদের কোনও প্রভাব নেই পাশের পুলিশ জেলা ব্যারাকপুরে। সেখানে মাত্র দুটি পুজো কমিটি সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে। আবেদনের সংখ্যা মোট ২৪৬৫।

বিধাননগরের পরই রয়েছে চন্দননগর পুলিশ জেলা। সেখানে ৯টি পুজো কমিটি সরকারের অনুদান নিতে চায়নি। ঘটনা হল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় প্রায় ১৩০০ পুজো কমিটি অনুদান পেয়েছে, সরকারি চাঁদা ফিরিয়ে দিয়েছে মাত্র ৪টি পুজো কমিটি।

পুজোর অনুদানের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। মোট ৩৯৩৬। তারা সবাই অনুদান মূল্য তথা ৮৫ হাজার টাকা করে চেক পেয়েও গেছে।

error: Content is protected !!