📝শুভদীপ রায় চৌধুরী , Todays Story: আগামীকাল মহালয়া, পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা হবে। আকাশে বাতাসে বেজে উঠবে আগমনী, কারণ মা আসছেন। সাবেকিয়ানার পাশাপাশি থিম পুজোর লড়াই দেখতে রাজপথে নামবেন আমজনতা। তবে সাধারণের কি প্রখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের হীরকরাজার দেশে ছায়াছবির কথা মনে আছে? নিশ্চয়ই থাকারই কথা, সেই হীরক রাজ্যে বিদূষক, মন্ত্রীরা যেমন ছিলেন, তেমনই ছিলেন এক গবেষক। কিন্তু সেই গবেষককে রাজসভায় ডেকে তাঁকে যখন এই প্রশ্ন করা হয়, তিনি জানায় এক অদ্ভুত যন্ত্রের কথা – মগজ ধোলাই। এই যন্ত্র দিয়ে কী হয়, তাঁরও বিবরণ দিয়েছিল গবেষক। সেই বিশাল যন্ত্রটি অবশ্য সিনেমার শেষ পর্বে পৌঁছে আমরা দেখতে পাই। দীর্ঘদিন বাদে সেই মগজ ধোলাই যন্ত্রটি এবার দেখা যাবে টালা বারোয়ারির মণ্ডপ প্রাঙ্গণে! সঙ্গে থাকবে হীরক রাজার দেশের আরও নানান দৃশ্য। তাই পুজোয় দর্শকদের একবার হলেও প্রবেশ করতে হবে সেই যন্তরমন্তর ঘরে। তারপর হতেই পারে মগজধোলাই! আট থেকে আশি সকল বয়সের দর্শকের মধ্যেই ভীষণ জনপ্রিয় সত্যজিতের এই ছায়াছবিই এবার সাজিয়ে তুলছে টালা বারোয়ারি।
প্রসঙ্গত, টালা বারোয়ারির পুজোর সঙ্গে নানাভাবে চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায়ের যোগ রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন পুজোর আয়োজকরা। বলাবাহুল্য, টালা বারোয়ারির পুজো যে স্থানে হয়, তার খুব কাছেই শুটিং হয়েছিল ‘অপুর সংসার’ ছবিটি। আবার কানু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন এই এলাকারই বাসিন্দা। ঘটনাচক্রে টালা বারোয়ারির পুজোও শুরু হয়েছিল সত্যজিৎ রায়ের জন্মবর্ষে। চলতি বছর সত্যজিৎ রায়ের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী। অন্যদিকে টালা বারোয়ারির পুজোও পা দিল ১০৪তম বছরে।
এ বিষয়ে উদ্যোক্তারা বলেন, অশিক্ষার নিধনই এবারের পুজোর মূলমন্ত্র। সারা দেশ জুড়ে যেভাবে সাধারণ মানুষ দিনের পর দিন নিপীড়িত হয়ে চলেছেন, তার মূল কারণ এই অশিক্ষা। আর সেই অশিক্ষা দূর করতেই আবারও প্রয়োজন উদয়ন পণ্ডিতের। টালা বারোয়ারির সমগ্র মণ্ডপসজ্জা ও মূলভাবনা ফের মনে করাবে দর্শকদের প্রিয় ছায়াছবির পণ্ডতি উদয়নের কথা।