📝শুভদীপ রায় চৌধুরী, Todays Story: মঙ্গলবারই বাংলার সরকার বিধানসভায় ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪’ পেশ করল। এদিনের আলোচনায় শাসক-বিরোধী তুমুল তরজা হলেও সর্বসম্মতিতেই বিল পাশ হয়েছে বিধানসভায়। এরপর রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির সাক্ষর মিললেই তা আইনে রূপান্তরিত হবে। এবার বাংলার দেখানো পথেই হাঁটল মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যেও এমন রকম বিল চাই বলেই দাবি তুললেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। পাওয়ারের এই কথা ধরেই ঘাসফুল বলেছে, বাংলা যা আজ ভাবে, গোটা দেশ সেই পথেই হাঁটে।
প্রসঙ্গত, সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপি সভাপতি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যে বিল আনা হয়েছে, তাতে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের উল্লেখ রয়েছে। মহারাষ্ট্রেও এমন বিল নিয়ে আসা খুব প্রয়োজন।’’ আর শারদ পাওয়ারের সেই বক্তব্য তুলে ধরে নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা লেখেন, ‘‘বাংলাই বারবার পথ দেখায়।’’ এছাড়া, রাজ্যের আর এক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মঙ্গলবার যে বিল পাশ হয়েছে তা নয়া ইতিহাস তৈরি করেছে। বিভিন্ন রাজ্যই এমন বিল আনার চিন্তুাভাবনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই শারদ পাওয়ারের মতন নেতা মহারাষ্ট্রে এই রকম বিলের দাবি তুলেছেন।’’
এর পাশাপাশি, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘নারী সুরক্ষায় যে নজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করেছেন তাকে সমর্থন করেছেন জাতীয় স্তরের নেতা শারদ পাওয়ারও। এর থেকেই স্পষ্ট, বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশকে কাল তা ভাবতে হয়।’’
বলাবাহুল্য, সম্প্রতি আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে গোটা রাজ্য যখন উত্তাল, তখনই শাসকদলের তরফে সংসদে কঠোর আইনের দাবি তোলা হয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় কেন্দ্রের শাসকদল যদি দ্রুত বিচার পক্রিয়া শেষ করে চূড়ান্ত শাস্তির বিল না পাশ করে, তা হলে তিনি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে এই বিল নিয়ে সংসদে কথা বলবেন। ঠিক পরেই রাজ্য বিধানসভায় বিল আনার কথা ঘোষণা করে রাজ্য প্রশাসন। এবার সেই বিলের জাতীয় স্তরে প্রভাব কতটা, তা তুলে ধরতে চাইল তৃণমূল কংগ্রেস।