📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। যদিও এখনও থমথমে রয়েছে বিভিন্ন এলাকা। বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বেশ কিছু এলাকার মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়েছে। দ্রুত ব্রডব্যান্ড পরিষেবাও চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
গত ৬ জুন থেকে আন্দোলন শুরু করে কোটা বিরোধী মঞ্চ। বিগত প্রায় একমাস ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। সংবাদ সংস্থা AFP-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার বিকেল পর্যন্ত ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, এই আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ব্যাঙ্ক, সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলতে শুরু করেছে। আপাতত বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় অফিস খোলা হচ্ছে এবং বন্ধ করা হচ্ছে বিকেল তিনটের সময়। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ সহ কয়েকটি এলাকায় কার্ফু শিথিল করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকার প্রায় সব জায়গাতেই পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি নামানো হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিচ্ছে তারা। কারফিউ শিথিল হওয়ার পর বুধবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলতে শুরু করেছে। আর সেই কারণে প্রবল যানজটও তৈরি হয়েছে। আন্দোলন থামাতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।