রথের দিন থেকে যাত্রার রেকর্ড বুকিং! আশায় বুক বাঁধছে ‘ মিনি চিৎপুর ‘

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: যাত্রা শিল্প অনেকটাই ফিকে। করোনাকালে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল । এ বারের রথযাত্রার দিন থেকে যে ছবিটা দেখা যাচ্ছে, তাতে আবার আশায় বুক বাঁধছেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী এবং ব্যবসায়ীরা|

রথের দিন থেকে যাত্রাপালার বুকিংয়ের রেওয়াজ। রবিবার রথের দিনেই অভাবনীয় সাড়া মিলেছে গ্রামগঞ্জ থেকে। এ বার যে পরিমাণ বুকিং হয়েছে তাতে উচ্ছ্বসিত ‘মিনি চিৎপুর’ বলে খ্যাত পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার। রথের দিন এখানকার একাধিক বুকিং অফিসে প্রায় শতাধিক পালাগানের জন্য অগ্রিম জমা করেছেন আয়োজকেরা। এখনও বায়না আসছে। তাই, করোনা পর্ব কাটিয়ে আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে যাত্রাদলগুলি।

সময় বদলেছে। তার সঙ্গে তাল মেলাতে মানুষের রুচি অনুযায়ী যাত্রার কাহিনি, গল্প এবং উপস্থাপনাতেও পরিবর্তন এসেছে। এখন পালাগান বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক কাহিনির বিষয়ে বেশি আগ্রহী আয়োজকেরা।

বাংলার যাত্রাপাড়া হিসেবে বহুল পরিচিত কলকাতার চিৎপুর। কলকাতার পর যাত্রাদলের বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার বাজার। এখানে জাতীয় সড়কের ওপর গোল চৌকি (চৌমাথা) রাস্তার পূর্ব পাড়ে রয়েছে একাধিক যাত্রা বুকিংয়ের অফিস। পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নন্দকুমারে ছুটে আসেন যাত্রাপ্রেমীরা। যে কারণে এই জায়গা ‘মিনি চিৎপুর’ নামে পরিচিত। পূর্ব মেদিনীপুরের এই জায়গা রয়েছে একই ভাবে।