📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিজেপি কর্মীর মৃত্যু মামলায় স্ত্রীর উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। থানা এবং জেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতেও বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে পুলিশের কাছ থেকে।
মঙ্গলবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ডেবরার সঞ্জয় বেরার । তিনি জেল হেফাজতে ছিলেন। গত ৪ জুন, লোকসভা নির্বাচনের ফলঘোষণার দিন ডেবরার ভরতপুর অঞ্চলের পুরুষোত্তম নগর গ্রামে তৃণমূল – বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই ঘটনার পর দু’পক্ষের বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সঞ্জয়। তাঁর পরিবারের দাবি, পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সঞ্জয়ের দেহে কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পরে সঞ্জয়কে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। কিছু দিনের মধ্যে পরিবার জানতে পারে, জেলে মাথা ফেটে গিয়েছে সঞ্জয়ের। জেল থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রথমে পাঠানো হয়েছিল সঞ্জয়কে। সেখান থেকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাঁকে ভর্তি করানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই মঙ্গলবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী ভাবে জেলে বসে মাথা ফাটল সঞ্জয়ের, প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। স্থানীয় সূত্রে খবর, সঞ্জয় এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর এই মৃত্যুর বিচার চেয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সমাজমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, বিজেপি করার কারণেই হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে। এক্স ( পুরনো নাম টুইটার) হ্যান্ডলে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘মমতার পুলিশের বর্বরতায় হেফাজতে থাকাকালীন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু।’’