📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ফুঁসছে সুতলেজ, বিয়াস, রাভি। পঞ্চনদের দেশ প্রায় ৪০ বছর পরে দেখল এমন ভয়াবহ বন্যা। বাড়ি-ঘর, চাষের ক্ষেত থেকে জাতীয় সড়ক – সবই জলের তলায়। ত্রাণ থেকে উদ্ধারকাজ – সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারই ভরসা। ইতিমধ্যেই ৩০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে পঞ্জাব প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত সাড় তিন লক্ষ মানুষ। গবাদি পশুর ক্ষতির পরিমাণ এখনও পর্যন্ত গণনাই করতে পারা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে পঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায়, তেমনই এগিয়ে এসেছেন বলিউড তারকা সোনু সুদ ও রণদীপ হুডা।
পঞ্জাবে গত ৩৭ বছরে এমন ভয়াবহ বন্যা হয়নি, বলছে পরিসংখ্যান। জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচল থেকে প্রবাহিত সব নদী উৎসস্থল এলাকা থেকেই এত বিপুল পরিমাণ জল আনছে যা ভাসিয়ে দিয়েছে পঞ্চনদের দেশকে। ইতিমধ্যেই পঞ্জাবের ২৩টি জেলাকেই বন্যাকবলিত ঘোষণা করেছে রাজ্য প্রশাসন। ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যে সব জায়গায় জল কম, সেখানে স্কুলগুলিকেই ত্রাণ শিবির হিসাবে কাজে লাগানো হচ্ছে।
রাজ্যের ১,৪০০ গ্রাম বন্যা কবলিত। যেখান থেকে অন্তত ২০,০০০ মানুষকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে নিরাপদ স্থানে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত গুরুদাসপুর, অমৃতসর, হোশিয়ারপুর, কপুরথালা, ফিরোজপুর ও ফাজিল্কা। দুদিন ধরে বৃষ্টি কমলেও জল ক্রমশ বাড়ছে। জলাধারগুলি বহন ক্ষমতার অন্তত হাজার ফুট বেশি জল বহন করছে। এরই মধ্যে আশঙ্কা বাড়িয়ে আবহাওয়া দফতর আগামী দুদিন আবার পঞ্জাবে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়াই চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের। সেই কাজে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো অভিনেতা সোনু সুদ। ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ও তাঁর সংস্থা প্রতিশ্রুতি দেন পঞ্জাবের প্রতিটি গ্রামে তিনি পৌঁছবেন। দেরিতে হলেও পঞ্জাবকে এই প্রতিকূলতায় মাথা তুলে দাঁড়াতে কাজ করবেন। অন্যদিকে বন্যাদুর্গত গুরুদাসপুর এলাকায় ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যান আরেক বলিউড অভিনেতা রণদীপ হুডাও।

