📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: অতীন বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা শুরু থেকেই বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করেছি। ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার প্রতিরোধে বছরভর অভিযান চলেই। সেই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ নিয়ে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে শহরে ৮০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। ৪ জনের দেহে করোনা ধরা পড়েছে। তবে কারও শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। সংক্রমণ যাতে না বাড়ে তাই শহরের প্রতিটি এলাকায় এখন থেকে নজরদারি করবেন পুরকর্মীরা। একই সঙ্গে মুখে মাস্ক পরা, দূরত্ব মেনে চলা-সহ যেসব কোভিড বিধি রয়েছে সেই বিষয়ে শহরবাসীকে আমাদের পুরকর্মীরা সতর্ক করবেন। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই সচেতনতার কাজ এগোবে বলেও জানান মেয়র পারিষদ।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯ মে পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। সেখানে গত ২৪ মে শনিবার ওই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭। রবিবার রাতে তা ১১তে পৌঁছয়। মঙ্গলবার তা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ তে। আক্রান্তদের সকলের মধ্যেই কমবেশি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “অতীতের মতো ফের লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকলে তা উদ্বেগের। সময় থাকতেই তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, সারা দেশে নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ। বিশেষ করে মুম্বই, চেন্নাই, আমেদাবাদ, কেরল, তামিলনাড়ু ও দিল্লির মতো রাজ্যগুলিতে। মহারাষ্ট্রের একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। সামনে এসেছে কোভিডের দু’টি সাব ভ্যারিয়েন্ট NB.1.8.1 এবং LF.7। এই দুই সাব ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রজাতির। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে পরীক্ষায় এই দুই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণত হালকা উপসর্গ, যেমন মাথা ব্যথা, গলা খুসখুস, জ্বর, সর্দি, পেটব্যথা বা পাতলা পায়খানার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তাতে ভয়ের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রক ৷