বাংলার বুকে ফের ‘মাছ – ভাত’ উৎসব, বাংলা পক্ষ নয় উদ্যোক্তা এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারি

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: নববর্ষে অভিনব ভাবনা কালচারাল এন্ড লিটারারি ফোরাম অফ বেঙ্গলের । ১৪৩২ বঙ্গাব্দে  সংগঠনের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারির উদ্যোগে আসানসোলে আয়োজিত হতে চলেছে ‘মাছ – ভাত উৎসব’, যে উৎসবের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে’ চারাপোনা উৎসব’।  যখন তীব্র তাপপ্রবাহের দহন জ্বালায় জ্বলছে গোটা পশ্চিমাঞ্চল, এমন সময় চারাপোনার ঝোল আর গরম গরম ভাত এক স্বাস্থ্য উপযোগী খাবার। তা ছাড়া নববর্ষে মাছে ভাতে বাঙালির জন্য এর চেয়ে ভালো উপহার আর কীই বা হতে পারে। আগামী ২০ এপ্রিল পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার মাধাইগঞ্জে প্রথম চারাপোনা উৎসব হতে চলেছে ৷ আগামিদিনে আসানসোল এবং কলকাতাতেও এই উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ৷ আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের কথায়, “পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত মাছ ৷ বাঙালি আর মাছ যেন সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে ৷ বিভিন্ন ধরনের মাছ এই বাংলায় পাওয়া যায় ৷ কিন্তু তার মধ্যেও যেটা সহজলভ্য, গ্রামেগঞ্জে সহজেই পুকুরে পাওয়া যায়, তা হল চারাপোনা মাছ ৷ বাঙালিক দৈনন্দিন খাদ্যাভাসের সঙ্গে এই পোনা মাছের নিত্য যোগসূত্র রয়েছে ৷ আর তাই এই চারাপোনা উৎসব করা ৷ আগামী ২০ এপ্রিল পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার মাধাইগঞ্জে এই চারাপোনা উৎসব করা হবে ৷ ভাত, ডাল, সবজি এবং তার সঙ্গে চারাপোনা মাছ খাওয়ানো হবে আগত সবাইকে ৷ আগামিদিনে আসানসোল এবং কলকাতাতেও এই চারাপোনা মাছের উৎসব করা হবে ৷”

তবে, কলকাতায় ‘মাছ – ভাত ‘ উৎসবের ভাবনা নতুন নয়। এর আগে বাংলা পক্ষের উদ্যোগে একাধিকবার ‘মাছ – ভাত ‘ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বরং ‘বহিরাগত’দের মুখের ওপর জবাব দিতেই চাঁদা তুলে রুই মাছ কিনে ভাতে বাঙালির প্রতিবাদের শক্তির পরিচয় দিয়েছে বাংলা পক্ষ। কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারির উদ্যোগে হতে চলা চারাপোনা উৎসবের কথা কানে পৌঁছতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি দিল্লিতে ঘটা ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন  “দিল্লিতে কালীবাড়ির সামনে বাঙালিদের মাছের বাজার বন্ধ করে দিতে চাইছে তারই দলের লোকজন ৷ অন্যান্য জায়গাতেও একই আক্রমণ নামছে বাঙালি ও তাদের খাদ্যাভাসের উপরে ৷ কিন্তু, তা নিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি কিংবা এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা প্রতিবাদ করেননি ৷ অথচ তারা এই রাজ্যে পোনা মাছ উৎসব করে বিষয়টাকে নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছেন ৷”
যদিও জিতেন্দ্র তিওয়ারি গর্গর এই কটাক্ষের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “কোথায় মানুষ কী খাবে, মানুষ কী পরবে, সেটা তার সাংবিধানিক অধিকার ৷ কোথাও এ বিষয়ে বাধা দেওয়া হয়েছে, তার কোনও প্রমাণ নেই ৷এখানে কোনও রাজনীতি নেই ৷”

error: Content is protected !!