📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: সপ্তাহের শেষে ফের ধস শেয়ার বাজারে। শুক্রবার সকালে ঘন ঘন নেমেছে সেনসেক্স ও নিফটি। বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির ঠেলায় এই পতন, যা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল। এই শুল্কনীতির ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, বিশ্বজুড়ে যা বিরাট মন্দা তৈরি করেছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ সেঞ্চুরিয়ান মুম্বইয়ের শেয়ারবাজারে ব্যাপক পতন দেখা যায়। এসঅ্যান্ডপি বিএসই সেনসেক্স ৮১৭.৭৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৭৫,৪৭৭.৫৯-এ। অপরদিকে, এনএসই নিফটি ৫০ সূচক ২২,৯৪৩.৩০ পয়েন্টে নেমে গিয়ে ২৩,০০০-র নিচে চলে যায়। এই পতন বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একপ্রকার আতঙ্ক তৈরি করে। যার ফলে তড়িঘড়ি শেয়ার বিক্রি শুরু করেছেন তাঁরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ নীতির ঠেলায় টালমাটাল পরিস্থিতি হয়েছে দেশীয় স্টক এক্সচেঞ্জেও।
ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক শুল্ক কী?
সম্প্রতি ট্রাম্প পুরনো বাণিজ্যনীতিতে ফিরে গিয়ে ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ বা প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেন। যার অর্থ, যদি কোনও দেশ আমেরিকার পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করে, তবে আমেরিকাও সেই দেশের পণ্যের উপর সমান হারে বা তার চেয়েও বেশি হারে শুল্ক চাপাবে। ভারতের ক্ষেত্রেও এভাবেই উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। ফলে ভারতের রপ্তানি খাতের উপর চাপ তৈরি হয়েছে।
অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এই ধরনের শুল্কনীতি আন্তর্জাতিক সরবরাহ চেইনে সমস্যা তৈরি করে। এর ফলে শুধু উন্নত দেশই নয়, দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশও অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়তে পারে। যার ফল বিশ্বব্যাপী মন্দা।
ভারতের অর্থনীতিতে এর তেমন প্রভাব আপাতত না পড়লেও বিশ্বব্যাপী মন্দা হলে তার প্রভাব থেকে ভারতও দূরে থাকতে পারবে না। তবে, বিশেষজ্ঞরা এও উল্লেখ করে দেন, ভারতের উপর চাপ কিছুটা কম হতে পারে কারণ ভারতের শুল্কহার এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম।

