📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ফের উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সোমবার যাদবপুরে অচলাবস্থা কাটাতে ডাকা হয় প্রশাসনিক সভা। তার মধ্যেই ফের উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাসে এ দিন সাদা পোশাকে পুলিশের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারী পডুয়ারা। নজিরবিহীন ভাবে শুধু ক্যাম্পাসেই নয়, ডিপার্টমেন্টের ভিতরও পুলিশ রয়েছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। তাঁদের কথায়, গন্ডগোলের দিন কোথায় ছিল পুলিশ?এদিন অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র ক্যাম্পাসে ঢুকতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। হাত জোড় করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকেন অধ্যাপক। তাঁর সঙ্গেই সাদা পোশাকে পুলিশ এসেছে বলে জানান পডুয়ারা। ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন এসেছে? সেই নিয়ে সরব হয়েছে AIDSO এবং SFI। প্ল্যাকার্ড হাতে চলছে পড়ুয়াদের স্লোগানিং।
জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে উপস্থিত সাদা পোশাকে প্রচুর পুলিশ কর্মী। রয়েছেন মহিলা পুলিশ কর্মীরাও। শুধু ক্যাম্পাসে নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের ঘরেও রয়েছে পুলিশ। কিন্তু, ক্যাম্পাসে কে পুলিশ ডাকল সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের দাবি, তিনি কোনও পুলিশ ডাকেননি। তিনি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন যে সোমবার তিনি আসবেন। আইন-শৃঙখলার যাতে অবনতি না হয় তা দেখতেই ক্যাম্পাসে পুলিশ কর্মীরা এসেছেন বলে খবর।১ মার্চ, শনিবার যাদবপুর ক্যাম্পাসে তৈরি হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় ইংরেজির স্নাতকের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায় জখম হন বলে অভিযোগ ওঠে। তার পর থেকেই বিচার চেয়ে বিক্ষোভে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। পড়ুয়াদের আন্দোলনে ইতি টেনে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রণবকুমার গায়েন সোমবার বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকে যোগ দিতেই এ দিন ক্যাম্পাসে আসেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। তাঁকে ঢুকতে বাধা দেন পড়ুয়ারা। তার পরই পুলিশের আগমন। পড়ুয়াদের অভিযোগ, জোর করে ভিতরে ঢোকেন ওমপ্রকাশ মিশ্র।