📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেলবন্দি ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। আর এবার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে ভুতুড়ে ভোটার ধরতে নামবেন প্রাক্তন মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয়। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় দলীয় একটা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন একটি বুস্টিং পাম্পিং স্টেশনের কাজ ঘুরে দেখেন তিনি। মূলত হাবড়ার মানুষ যাতে জলবন্দি না থাকেন সেটা নিশ্চিত করার জন্য়ই এই বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। বেআইনি নির্মাণ, জমা জলের সমস্যা থেকে মুক্তির পথ থেকে ভুতুড়ে ভোটার নানা বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন পরিদর্শন করলাম। ৭-৮-১৫ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ জলের তলায় চলে যান। আমরা পাম্প বসিয়ে জল বের করেছি আগে। ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বুস্টিং পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। জায়গাটি কিনে এই কাজ করা হয়েছে। ১৫ হাজার মানুষ এতে উপকৃত হবেন। কেএমডিএ যে কাজ করেছে তা অকল্পনীয়। আধা গ্রাম আধা শহর এলাকায় এত বড় প্রজেক্ট চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। মাননীয় মুখ্য়মন্ত্রী দেখে বলেছিলেন তুই ওখানে একটা পাম্পিং স্টেশন তৈরি কর। তিনি এই টাকার অনুমোদন করেছিলেন। কাজটা আমরা করেছি। বাড়ি বাড়ি জল দেওয়ার কাজও হবে। নিকাশির ব্যবস্থাও করা হবে। ভুয়ো ভোটার নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, বুথ লেবেলের যে কর্মীরা বসেন আর যে রিলিভার এই দুজনকে আমরা দায়িত্ব দিচ্ছি। তারাই জানেন রামের বাড়িতে শ্যাম আর যদুর বাড়িতে মধু আছেন। ওই বলতে পারবে। ওকে দিয়ে কাজটা করাব। যদি কোনও ভুয়ো ভোটার থাকে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। কাউকে ভুয়ো ভোটার রাখা যাবে না। হাবড়ার বসন্তপুর ২ রাউতারা সেখানে আছে। বেশিরভাগ ইউপি, রাজস্থান, গুজরাটের। এসব জায়গার আছে। সেগুলি খুঁজে বের করে আমরা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেব। দলকেও দেব। কাজটা করা হচ্ছে। দু তিনদিন সময় লাগবে। তবে এই ধরনের ভোটার ২০২৪ এও ছিল, ২০২৩এও ছিল আবার ২০২২ সালেও ছিল। সব চিহ্নিত করে বের করতে হবে। ভুয়ো ভোটার রাখা যাবে না। জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এবার বড় মিশনে নামছেন জ্যোতিপ্রিয়
