ED – CBI এর পর বিজেপির নতুন চাকরবাকর SFI : অরূপ চক্রবর্তী


📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গোটা ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একদিকে এসএফআই, অন্যদিকে তৃণমূল, একে অপরকে লাগাতার আক্রমণ শানানো চলছে। এদিকে গোটা ঘটনায় পথে নেমেছেন তৃণমূল। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ সায়নী ঘোষের সঙ্গে যাদবপুর ও টালিগঞ্জের বিধায়ক কাউন্সিলরদেরও মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল। আর মিছিল থেকে এসএফআই, সিপিএম, বিজেপিকে নিশানা করলেন ৯৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী। SFI কে বিজেপির নতুন চাকরবাকর বলে সরাসরি কটাক্ষ করলেন তিনি।গোটা ঘটনাকে বর্বরতম ঘটনা বলে অ্যাখ্যায়িত করে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “অসভ্যতা নোংরামো বর্বরতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে বাম মাকু SFI এবং অতি বামেরা। আজ গোটা বাংলা দেখেছে কাদের নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রীর গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। শোনা গিয়েছে ইঁট দিয়ে মার। শিক্ষা গাড়ির বনেট আক্রান্ত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীকে ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। জখম হয়েছেন তিনি। আমাদের ওয়েব কুপার অধ্যাপক প্রদীপ্ত মুখার্জি সেমিনারে বক্তৃতা দিতে এসেছিলেন। সব চেয়ে ইন্টারেস্টিং বক্তৃতার বিষয় ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষায় গেরুয়াকরণ, সেই নীতির বিরুদ্ধে বক্তৃতা হচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে যখন বক্তব্য রাখা হচ্ছে তখন গা জ্বলছে SFI – CPIM এর। যেই সিপিএম কদিন আগে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ দিয়ে বলেছে যে বিজেপি ফ্যাসিস্ট নয়। তাদের ছাত্র সংগঠন যখন বিজেপির বিরুদ্ধে সমালোচনা করছে তখন তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন শিক্ষকদের পেটাচ্ছে। অর্থাৎ আমরা যেকথা বহুদিন থেকে বলেছি যে রাজ্যে বাম আর রামের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, এই সিপিএম এসএফআই যে বিজেপির পোষা চাকরবাকর , আমরা এতদিন জানতাম ইডি আর সিবিআই বিজেপির চাকরবাকর এখন দেখছি বিজেপির নতুন চাকরের নাম হয়েছে SFI। এই বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে গোটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার আজ রাস্তায় নেমেছে। উল্টোদিকে দেখা গেল চল্লিশ টা মাও মাকু দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমাদের মিছিলে কমপক্ষে ৮ হাজার লোক রয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস রয়েছেন। যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ রয়েছেন। বিধায়ক রয়েছেন। কাউন্সিলররা রয়েছেন। যাদবপুর আর টালিগঞ্জের তৃণমূল কর্মীরা রয়েছেন। তাতেই ৮ থেকে ১০ হাজার লোক। গণতন্ত্র না মেনে তৃণমূল যদি বদলা নয় বদল চাই না বলত তাহলে এই ৪০ টা লোকের চিহ্ন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যেত না। কিন্তু আমরা গণতন্ত্র মানি। গান্ধীজী বলে গিয়েছিলেন এক গালে চড় খেলে আরেক গাধ বাড়িয়ে দিতে। কিন্তু দু গালে চড় খেলে কী করতে হবে সেটা গান্ধীজী বলে যাননি। সেটা যেন মাও মাকু রা মাথায় রাখে। SFI এর ফেসবুক পেইজ এ বিজ্ঞপ্তি এসেছে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বক্তৃতা দিতে আসবে, একটা সংগঠন সেমিনার করবে, এরা পতাকা য় লিখে রাখে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্রের কথা। কোন গণতন্ত্রের নিদর্শন দেখিয়েছে যে একজন শিক্ষামন্ত্রী তার গাড়ির বনেটে বলছে ইঁট দিয়ে মার। শিক্ষামন্ত্রীর চোখে লেগেছে ।তিনি হাসপাতালে। অধ্যাপক প্রদীপ্ত মুখার্জি তিনি যখন বক্তব্য রাখছেন বিজেপির শিক্ষায় গৈরিকীকরণ এর বিরুদ্ধে এসএফআই এর তখন গাত্রদাহ হচ্ছে। ইডি সিবিআই এর পর বিজেপির নতুন চাকর বাকড়ের নাম SFI। “