📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: প্রাক্তন স্ত্রীকে টুকরো টুকরো করে কেটে দেহাবশেষ ট্রলিব্যাগে ভরে কলকাতার কুমোরটুলির গঙ্গায় ফেলতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন দুই মহিলা। প্রাক্তন স্ত্রী সুমিতা ঘোষের এমন ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা জানতে পেরে শিউরে উঠেছেন পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট কালীতলা এলাকার বাসিন্দা সুদীপ্ত ঘোষ। তাঁর কথায়, “টিভিতেই ঘটনাটা জানতে পারি। আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। সুমিতা তো নিজেই আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে গিয়েছিল। এখন আমার আর কি বা করার আছে, কি বা বলার আছে!”
কুমোরটুলির গঙ্গার ঘাটে ট্রলিব্যাগে এক বয়স্ক মহিলার মুণ্ডহীন কাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা জেনে হতবাক রাজ্যবাসী। ঘটনা জেনে শিউরে ওঠেন সুদীপ্ত ঘোষও। নিহত সুমিতা ঘোষ তাঁরই বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রী। বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও প্রাক্তন স্ত্রী সুমিতাকে এমন নৃশংসভাবে খুনের কথা জেনে স্তম্ভিত সুদীপ্ত ঘোষ। তিনি বলেন, “ঘটনার কথা শুনে আমার খারাপ লেগেছে। কিন্তু আমার কি বা করার আছে। সুমিতা ঘোষের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু টেকেনি সংসার। ২০১৭-১৮ সালে আমাদের স্মামী ও স্ত্রীর সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে।” কী কারণে বিচ্ছেদ? সে প্রসঙ্গ অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন সুদীপ্ত ঘোষ।
যদিও নাদনঘাটের কালীতলা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, ২০০৪ সালে সুদীপ্ত ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হয় সুমিতা ঘোষের। তাঁদের ১৩-১৪ বছরের দাম্পত্য জীবন সুখ-দুঃখের মধ্যেই কাটছিল। তারই মধ্যে মাথাচাড়া দেয় পারিবারিক অশান্তি। ছিন্ন হয় সুদীপ্ত ও সুমিতার সম্পর্ক। ২০১৭-১৮ সালে তাদের দাম্পত্য জীবনে পাকাপাকিভাবে বিচ্ছেদ ঘটে তাঁদের।
এক সময়ে বাইরে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন সুদীপ্ত। তাই তখন তিনি গ্রামের বাড়িতে খুব কমই থাকতেন। তাঁর স্ত্রী সুমিতাও বাইরে থাকতেন। মাঝে মধ্যে গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে তিনি থাকতেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে সুদীপ্ত ঘোষ এখন আর কিছু করেন না। এলাকার বাসিন্দারাও সুমিতা ঘোষের এমন নৃশংস পরিণতির কথা জেনে স্তম্ভিত।