📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: মায়ের মৃত্যু দিনে সকাল সকাল আবেগে ভরা পোস্ট তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের । অন্যান্য দিনের মতো রাজনৈতিক তরজা কিংবা বিরোধীদের চাঁচাছোলা জবাবের বদলে পোস্ট করলেন এক চিঠি। যে চিঠি তিনি পেয়েছেন মায়ের মৃত্যু দিনে। কে লিখল এই চিঠি? তবে চিঠির সঙ্গে যোগ রয়েছে আর জি করের।

কুণাল ঘোষের পোস্ট থেকে জানা যায়, গতকাল রাতেই এই চিঠি তার কাছে পৌঁছিয়েছে স্পিড পোস্টে মারফত। চিঠিটি লিখেছেন তার মায়ের আর জি করের এক ব্যাচমেট। চিঠিতে কুণাল বাবুর উদ্দেশ্যে লেখা –
মাননীয় কুণালবাবু,
এই চিঠি পেয়ে নিশ্চয়ই অবাক হবেন। কিছুদিন আগে আমরা কিছু ডাক্তার বন্ধু এক জায়গায় মিলিত হই। প্রত্যেক বছরেই চেষ্টা করা হয় মিলিত হবার।অনেক রকম কথাবার্তা হয়।এবার রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রসঙ্গ ওঠে। আমি বলেছিলাম কুণালবাবুর বলার ধরণ ও উপস্থাপনার ধরণ আমার খুব ভালো লাগে। হঠাৎ আমাদের এক বন্ধু বলে উনি আমাদের এক ক্লাসমেটের পুত্র। কুণালবাবুর বাবা আমাদের দুই বৎসরের সিনিয়র ছিলেন। ওখানে শুনলাম আপনার মায়ের নাম মণিকা রায় ও বাবা কল্যাণ ঘোষ। শুনে খুবই আনন্দিত হলাম। ওনারা কেহ ইহলোকে নেই জেনে দুঃখিত হলাম।… আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ( মনে হয়, সরকার নেওয়ার পর) আর জি করের ফার্স্ট ব্যাচ, ১৯৫৮। আমার মনে আছে মণিকাদি আমাদের চেয়ে বড় ছিলেন বলে আমরা দিদি বলতাম। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ও গ্রে স্ট্রিটের ক্রসিং এ ট্রামে উঠে কলেজে আসতেন। আমিও ওই একই জায়গায় ট্রামে উঠতাম। দিদি একরাশ ডিগনিটি নিয়ে থাকতেন।…. আপনার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ করার খুব ইচ্ছা- মণিকাদি, কল্যাণদার ছেলে বলে। আমার বয়স পঁচাশি বছর।
চিঠির প্রত্যুত্তরে সামাজিক মাধ্যমে হয়ে জবাব কুণালবাবু দিয়েছেন তা হল, চিঠি পেয়ে আমি অভিভূত। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেছিলাম কোনো এক যুগে মায়ের সঙ্গেই ট্রামে ওঠা আজকের বর্ষীয়ান মানুষটিকে। কথা হল। দেখা করে আসব। উনি ভালো থাকুন।

