নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: মোট ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে। এই ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ আলাদা আলাদা জায়গায় অবস্থিত। মহাশিবরাত্রিতে এই প্রতিটি জায়গাতেই মহাদেবের পুজো হয়। দেখে নিন, সেই জ্যোতির্লিঙ্গগুলি কোথায় কোথায়।১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ এবং তাৎপর্য
১. সোমনাথ: এই জ্যোতির্লিঙ্গ গুজরাটের সোমনাথ জেলায় রয়েছে।
তাৎপর্য: এটি প্রথম জ্যোতির্লিঙ্গ হিসাবে পরিচিত। এটি শিবের চিরন্তন এবং অবিনশ্বর প্রকৃতির প্রতীক। এটি একাধিকবার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
২. মল্লিকার্জুন: এই জ্যোতির্লিঙ্গ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীশইলমে রয়েছে।
তাৎপর্য: এই মন্দিরটি ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতীর মিলনস্থল হিসেবে মানা হয়। তাছাড়াও এটি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি হিসাবেও বিবেচিত হয়।৩. মহাকালেশ্বর: এই জ্যোতির্লিঙ্গ মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে অবস্থিত।
তাৎপর্য: ভস্ম আরতির জন্য বিখ্যাত। মনে করা হয় ভগবান শিব এখানে সময় ও মৃত্যুর অধিপতি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি মুক্তি প্রদান করেন।
৪. ওমকারেশ্বর: এই জ্যোতির্লিঙ্গ মধ্যপ্রদেশের নর্মদা নদীর মান্ধাতা দ্বীপে অবস্থিত।
তাৎপর্য: পবিত্র ‘ওম’-এর মতো আকৃতির এই জ্যোতির্লিঙ্গটি সর্বজনীন চেতনার প্রতীক।৫. কেদারনাথ: এই জ্যোতির্লিঙ্গ উত্তরাখণ্ডের গাড়ওয়াল হিমালয়ে অবস্থিত।
তাৎপর্য: হিমালয়ের কোলে এই মন্দির।
৬. ভীমশঙ্কর: এই জ্যোতির্লিঙ্গ মহারাষ্ট্র পুনে জেলায় রয়েছে।
তাৎপর্য: সবুজে ঘেরা এই মন্দিরে ভগবান শিব অশুভের বিনাশকারী রূপে অবস্থান করেন।৭. কাশী বিশ্বনাথ: এই জ্যোতির্লিঙ্গ উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত।
তাৎপর্য: এই জ্যোতির্লিঙ্গ মুক্তি এবং আশীর্বাদ প্রদান করে।
৮. ত্র্যম্বকেশ্বর: এই জ্যোতির্লিঙ্গ মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলায় অবস্থিত।
তাৎপর্য: গোদাবরী নদীর উৎপত্তি স্থলের কাছাকাছি অবস্থিত এই মন্দির সৃষ্টি, সংরক্ষণ এবং ধ্বংস চক্রের প্রতিনিধিত্ব করে।
৯. বৈদ্যনাথ: এই জ্যোতির্লিঙ্গ ঝাড়খণ্ডের দেওঘর অবস্থিত।
- তাৎপর্য: এই মন্দিরটি অসুস্থতা নিরাময়ের জন্য খ্যাত।
১০. নাগেশ্বর: এই জ্যোতির্লিঙ্গ গুজরাটের দ্বারকার কাছে অবস্থিত।
তাৎপর্য: এই জ্যোতির্লিঙ্গ নেতিবাচকতা এবং অশুভ শক্তি থেকে সুরক্ষার প্রতীক।
১১. রামেশ্বরম: এই জ্যোতির্লিঙ্গ তামিলনাড়ুর পামবান দ্বীপে অবস্থিত।
তাৎপর্য: কথিত আছে যে রাবণের সঙ্গে যুদ্ধের পরে ক্ষমা চাইতে ভগবান রাম এখানে এসে শিবের পুজো করেছিলেন।
১২. গ্রীষ্ণেশ্বর: এই জ্যোতির্লিঙ্গ মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের কাছে ইলোরায় অবস্থিত।
তাৎপর্য: এটি ক্ষুদ্রতম জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির। বিশ্বাস এবং সরলতার প্রতীক। এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বিখ্যাত ইলোরা গুহাগুলির কাছে অবস্থিত।
জ্যোতির্লিঙ্গগুলি ভগবান শিবের অসীম এবং অপরিবর্তনীয় প্রকৃতির প্রতীক, যা ভক্তদের আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। প্রতিটি মন্দির শিবের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে। অনেক তীর্থযাত্রী দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ যাত্রা করেন। আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতা এবং ঐশ্বরিক আশীর্বাদ অর্জনের জন্য ১২টি মন্দির দর্শন করেন অনেকে।