📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আরজি কর হাসপাতাল থেকে বদলি করে দেওয়া হল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের স্ত্রীকে। সঙ্গীতা দাস ঘোষকে বদলি করা হল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। আরজি করের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন সঙ্গীতা। বেলেঘাটা আইডির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে বদলি করা হল তাঁকে।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরেই প্রকাশ্যে আসে হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। সেই মামলায় প্রথমে সন্দীপকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর এই মামলার সূত্র ধরে বিপ্লব সিংহ, আফসার আলি এবং সুমন হাজরাকেও গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারীরা। এই মামলায় শেষ গ্রেফতার আশিস পাণ্ডে। প্রত্যেকেই আপাতত জেলে।
প্রথম থেকেই স্বামীকে নির্দোষ দাবি করে এসেছিলেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী। সিবিআইয়ের হাতে আরজি কর মামলার তদন্তভার আসার পর থেকেই ফোকাসে ছিলেন সঙ্গীতা দাস ঘোষ। সিবিআই-এর পাশাপাশি আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ইডি দাবি করে, সন্দীপের স্ত্রীর নামে অন্তত দু’টি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, যার কোনও সরকারি অনুমোদনই নেই।
তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় ঘোষ দম্পতির একাধিক সম্পত্তির হদিশ পায় ইডি। উদ্ধার হয় অসংখ্য নথি। সেসব ঘেঁটে সন্দীপ-সঙ্গীতার মুর্শিদাবাদে একটি এবং কলকাতায় তিনটি ফ্ল্যাটের হদিস পাওয়া যায়।
একসময় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের মল্লিক বাগানে থাকতেন সন্দীপ। সেখানে নার্সিংহোমে প্র্যাকটিস করতেন। চেম্বারও করতেন। আরজি করের ঘটনা সামনে আসতেই সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলেছিলেন, সদ্য মা হওয়া স্ত্রী সঙ্গীতার পেটে লাথি মারেন সন্দীপ। সেই সময় সদ্যোজাতর বয়স ছিল চোদ্দ দিন। শুধু সন্দীপ নয়, তাঁর মায়ের ব্যবহার নিয়েও উঠেছিল বিস্তর অভিযোগ।