📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story:স্বাধীনতা দিবসে চা চক্রে যোগ দিতে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশ্য আগাগোড়া রাজ্যপালকে এড়িয়ে চললেন তিনি। বৃহস্পতিবারের চা চক্রে আমন্ত্রণ করা হয়নি কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে থাকা সকলকে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রাজভবনের নর্থ গেটের দিকে চাতালে বসেছিলেন মমতা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একফোঁটা জলও খাইনি।”রীতি অনুযায়ী, স্বাধীনতা দিবসে বিকেলে চা চক্রে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বৃহস্পতিবার দশজনের প্রতিনিধি দল-সহ রাজভবনে যান মমতা। তবে রাজ্যপালকে আগাগোড়া এড়িয়ে চলেন। রাজভবনের ভিতরে অনুষ্ঠানস্থলে একবারও যাননি মুখ্যমন্ত্রী। পরিবর্তে তাঁর সঙ্গে থাকা প্রতিনিধিদের নিয়ে রাজভবনের নর্থ গেটের চাতালে বসেছিলেন। রাজভবনের সচিব এসে চা, জল খাওয়ার অনুরোধ করেন। একফোঁটা জলও পান করেননি মুখ্যমন্ত্রী। কেন পুলিশ কমিশনার এবং মেয়রকে আমন্ত্রণ জানানো হল না, সেই প্রশ্ন করেন। এর পর রাজ্যপাল একবারের জন্য বাইরে আসেন। দুজনের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় হয়। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় সঙ্গীতের সময় চাতালেই হাতজোড় করে উঠে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। এর পর তাঁর সঙ্গে থাকা সকলকে নিয়ে রাজভবন থেকে বেরিয়ে আসেন মমতা। রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমি কতগুলি সিস্টেম মেনটেন করি। স্বাধীনতা দিবসে অনেকেই রাজভবনে আসেন। সাংবাদিকরাও আসেন। আড্ডা মারি। আমি যখন এসেছি বলেছিলাম একা আসতে সমস্যা আছে। তাই টিম নিয়ে আসব। আমরা একসঙ্গে ১০-১২ জন এসেছিলাম। এটা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বলে তাই। সরকারের যখন গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকবে, তখন তো ওরা থাকবেই সাথে। তখন আসা যেতেই পারে।” রাজভবনের ভিতরে গিয়ে কী খাওয়াদাওয়া করেছেন তিনি, সে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। উত্তরে মমতা স্পষ্ট জানান, একফোঁটা জলও খাননি তিনি।
রাজভবনে চা চক্রের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
