‘করিনার সঙ্গেই ছিলাম, আচমকা…’ সইফের বয়ান পুলিশকে! ‘আমার ছেলে নয়’ দাবি অভিযুক্তের বাবার

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কীভাবে আঘাত পেলেন? ১৬ জানুয়ারি হামলার দিন ঠিক কী কী ঘটেছিল? মুম্বইয়ের বান্দ্রা পুলিশকে ভয়াবহ ঘটনার কথা জানালেন সইফ আলি খান। বলিউড অভিনেতা জানিয়েছেন, হামলার সময় স্ত্রী করিনা এবং দুই সন্তান তৈমুর এবং জেহ, বাড়িতেই ছিল।

পুলিশকে সইফ পরিষ্কার জানিয়েছেন, সেদিন স্ত্রী করিনার সঙ্গে ঘরে ছিলেন তিনি। আচমকা বাইরে থেকে পরিচারিকা এলিমা ফিলিপসের চিৎকার তাঁদের কানে আসে। জানা গেছে, সইফ, করিনার ছোট ছেলে জেহ-র দেখাশোনা করেন এলিমা। সেদিন রাতে জেহ তাঁর সঙ্গেই ঘুমিয়েছিল। এলিমার চিৎকার শুনে সইফ এবং করিনা ছুটে যান এলিমার ঘরে। দেখতে পান দুষ্কৃতীর সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি চলছে। এরপরই সইফ দুষ্কৃতীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করলে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি।

অভিনেতা আরও জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীকে জেহ-র ঘর থেকে বের করার জন্য তিনি তাঁকে জাপটে ধরেন। সেসময় তাঁকে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতী। সইফের বাড়ির অন্যান্য কর্মীরা ততক্ষণে ছুটে আসেন। দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু সে চম্পট দেয়।

পরে পরিচারিকা এলিমা জানিয়েছেন, ওই দুষ্কৃতী তাঁর কাছ থেকে এক কোটি টাকা চেয়েছিল। সইফের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দুষ্কৃতী শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্টের নমুনা থেকেও শেহজাদের হামলার বিষয় স্পষ্ট হয়েছে বলে খবর।

এদিকে বিস্ফোরক দাবি করেছেন, সইফ আলি খানের বাড়িতে হামলাকারী ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজাদের বাবা রুহুল আমিন। তাঁর দাবি, ভুল লোককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিসিটিভিতে যাকে দেখা গেছে সে তাঁর ছেলে নয়।

ধৃত শরিফুলের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও সইফের বাড়িতে হামলার ঘটনার যে সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা গেছে অন্য লোক। রুহুল আমিন বলেছেন, “সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছে তার চুল অনেক বড়বড়। আর আমার ছেলে ছোট চুল রাখে। অনেকটা সেনাকর্মীদের মতো।” তাঁর দাবি, তাঁর ছেলে শেহজাদ এই হামলায় জড়িত নয়। তবে, পুলিশ নিশ্চিত শরিফুলই সইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। সইফের বাড়ি থেকে দুষ্কৃতীর যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গিয়েছে, সেটাও শরিফুলের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায়।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সইফের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা চালায় আততায়ী। অভিযোগ, এ সময় সাইফ আলি খান তাকে বাধা দিতে গেলে ছুরি দিয়ে প্রায় ছ’বার আঘাত করা হয় তাঁকে। রাত আড়াইটে নাগাদ রক্তাক্ত সইফকে অটোয় করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়, তাঁর মেরুদণ্ড থেকে ছুরির ৩ ইঞ্চি লম্বা একটি টুকরো বের করা হয় এবং স্পাইনাল ফ্লুইড লিক বন্ধ করা হয়। হাসপাতাল পরে অস্ত্রোপচারের সময় পাওয়া ওই ধারালো বস্তুটির ছবিও প্রকাশ করে।

error: Content is protected !!