দ্বিতীয় হুগলি সেতুর বাগ্‌যুদ্ধ! বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের মন্ত্রী বাবুল এবং বিজেপির সাংসদ অভিজিৎ

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়লেন দুই রাজনীতিক। এক দিকে তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং অন্য দিকে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার রাতে প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে বচসা চলে দুই নেতার। গাড়ি নিয়ে হাওড়ায় তাঁর বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন বাবুল। অভিজিতের গাড়িও কলকাতা থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়েই দুই নেতার মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়।
বাবুলের দাবি, তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন। সেই সময় পিছন থেকে হুটার বাজিয়ে প্রচণ্ড গতিতে একটি গাড়ি আসছিল। সেটি বাবুলের গাড়িকে অতিক্রম করে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাবুল সে সময় মুখ বার করে অপর গাড়ির চালককে ঠিক ভাবে গাড়ি চালানোর কথা বলেন। বাবুলের দাবি, তিনি দ্বিতীয় গাড়ির চালককে বলেন, “এ ভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন? আপনি তো লোককে মেরে দেবেন! আমার গাড়ির সঙ্গে ঠেকে গেলে তো দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।” তৃণমূল বিধায়কের দাবি, সেই সময় দ্বিতীয় গাড়ির পিছন থেকে কেউ এক জন “চালা দে, চালা দে” বলে ওঠেন। অর্থাৎ, গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন চালককে।
এর পর দ্বিতীয় গাড়িটি কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর সেটিকে আবার থামান বাবুল। তাঁর দাবি, সেই সময় গাড়ির পিছনের আসনে বসে ছিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ। গাড়িতেও ‘এমপি তমলুক’ লেখা ছিল বলে দাবি তৃণমূল নেতার। বাবুল জানান, তিনি সাংসদকে দেখতে পেয়ে গাড়ির পিছনের দিকে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন। গাড়ির চালককে সঠিক ভাবে চালানোর কথা বলতে অনুরোধ করেন। বাবুলের দাবি, সেই সময় সাংসদ তাঁকে বলেন, “যা করেছে বেশ করেছে!” তাঁকে গালিগালাজও করা হয় বলে দাবি বাবুলের। তত ক্ষণে দুই নেতার বচসায় আশপাশে স্থানীয় মানুষজনের ভিড় জমে যায়। স্থানীয়দের দাবি, তখন বাবুল সাংসদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন। ক্ষমা না চাইলে সাংসদের গাড়ি তিনি এগোতে দেবেন না, এ কথাও তিনি বলেন।

error: Content is protected !!