২৫ – এর শুরুতেই অপসারণ বাঙালিদের! প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন বাংলা পক্ষর

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ১৯৩৫ সালে বাংলার মাটিতে যাদবপুরে বাঙালি বিজ্ঞানী জে এন রায়ের হাতে গড়া বিখ্যাত জীববিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি থেকে বছরের প্রথম দিনে কর্মচ্যূত করা হয় ৫১ বাঙালিকে। এর প্রতিবাদে আজ ৩ রা জানুয়ারি বাংলা পক্ষর ব্যাপক বিক্ষোভ জমায়েত হয়। উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, উত্তর ২৪ পরগনা গ্রামীণের জেলা সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার সহ বাংলা পক্ষর বড় সংখ্যক সদস্য সহযোদ্ধারা।বাংলা পক্ষ সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে বলেন “বাংলার মাটিতে বাঙালি কর্মী তাড়িয়ে বহিরাগত ঢুকিয়ে বাঙালি জাতির উপর এই আক্রমণ বাংলা পক্ষ মেনে নেবে না। সকল বাঙালিকে কাজ ফিরিয়ে দিতে হবে।” জমায়েত থেকে এ বিষয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি করা হয়।

অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ইউপি থেকে আসা বাংলা ও বিদ্বেষী ডিরেক্টর ইউপির বিভা ট্যান্ডন ডিরেক্টর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুরু করেন বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষী নানা কর্মকাণ্ড। কথায় কথায় বাঙ্গালীদের কাম চোর কেন মাছ খায় ইত্যাদি কটাক্ষ সহ বাংলার রাজ্য সরকারকে গালাগাল সহ নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে লিপ্ত হয়। ২৫-৩০ বছর ধরে কাজ করা বাঙালি ঠিকা কর্মীদের তাড়িয়ে ইউপির কোম্পানিকে টেন্ডার দিয়ে ইউপি বিহার থেকে কর্মী আনায় সে। ঠিক বিশ্বভারতীকে যেভাবে ধ্বংস করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেই এক মডেলে বাংলার আরেক গর্ব এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।


বিশেষ করে বিশ্ব বিখ্যাত নেচার পত্রিকার মাপকাঠিতে কলকাতা ভারতের বিজ্ঞান রাজধানী ঘোষিত হবার পরে যেন দাঁত-নখ বার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি ভারতের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান সম্মাননা ভাটনগর পদকপ্রাপ্ত বাঙালি বিজ্ঞানী দীপ্যমান গাঙ্গুলীকে এক প্রকার এই প্রতিষ্ঠান থেকে তাড়িয়েছে এই বিভা টেন্ডন।
বাঙালি ঠিকা কর্মীরা এবং গবেষক ছাত্রছাত্রী এবং বিজ্ঞানীদের যে বিক্ষোভ চলছিল ইনস্টিটিউটের ভিতরে, আজ বাইরে থেকে সেই আন্দোলনের প্রতি সংগতি জানাতে বিরাট জমায়েত করে বাংলা পক্ষ।

error: Content is protected !!