📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: হাইকোর্টের অনুমতি মেনে রবিবার ধর্মতলায় প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল West Bengal Linguistic Minorities Association. ভাষা বিভেদ দূর করার দাবিতে এই সমাবেশের প্রধানবক্তা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর আসার কথা থাকলেও তিনি ছিলেন গরহাজির। কেন তিনি এলেন না? দলীয় কোনো কারণে নাকি ব্যস্ততা? উঠছে প্রশ্ন । অগত্যা বিরোধী দলনেতাকে ছাড়াই এগিয়ে চলে প্রতিবাদ সভা। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি, চিফ প্যাট্রন অর্জুন সিং সহ অন্যান্য সদস্যরা।

প্রসঙ্গত, বাংলাভাষীদের থেকে হিন্দিভাষীদের মধ্যে যে ভাষাগত বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে, তাদের গুটকাখোর-বিহারী তকমা দেওয়া হচ্ছে – তারই প্রতিবাদে মূলত প্রতিবাদ West Bengal Linguistic Minorities Association এর।
সংগঠনের সদস্যদের বক্তব্য, তাদের সংগঠনে হিন্দিভাষী-বাংলাভাষী সকলেই আছেন। তৃণমূল সরকারের মদতে কিছু সংগঠন এই বিভাজন সৃষ্টি করে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে। ইংরেজি মিডিয়াম, হিন্দি মিডিয়াম নির্বিশেষে সকল মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলিতে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়েছে।
রানি রাসমনি রোডের সমাবেশ থেকে ভাষাগত সংখ্যালঘুদের এক ছাতার তলায় আসার আহ্বান জানান সংগঠনের সদস্যরা। অভিযোগ, ভোট এলেই তৃণমূল অ-বাংলাভাষীদের বহিরাগত বলে কটাক্ষ করে। তারা ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সংগঠনের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, বাঙালির সংস্কৃতি সকলকে নিয়ে চলা। ছট পুজোয় আমার প্রতিবেশী বাঙালিরা আমাদের কাছে ঠেকুয়া খেতে চান। অথচ রাজনৈতিক কারণে ভাষাগত বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় তৃণমূল। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেন তিনি।