📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে পাশ হয়ে গেল এক দেশ এক ভোট প্রস্তাব! সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এক দেশ এক নির্বাচনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মোদির মন্ত্রিসভা। সংসদের চলতি অধিবেশনেই এই মর্মে বিল পেশ করতে চলেছে মোদি সরকার। প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, শীতকালীন অধিবেশনে না হলেও হয়তো পরবর্তী অধিবেশনে এই বহুচর্চিত বিলটি পেশ করা হতে পারে। তবে চলতি অধিবেশনেই সংসদে এক দেশ এক ভোট বিল পেশ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। চলতি বছর লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি যুক্তি দেন, ঘন ঘন নির্বাচনে দেশের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা পড়ে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গোটা দেশ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থনও জানাচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলগুলিকে এই বিষয়ে সমর্থন করার আহ্বানও জানান তিনি। মোদির সেই বার্তার পর জল্পনা তৈরি হয়েছিল এনডিএ সরকারের চলতি মেয়াদেই কার্যকর হবে এক দেশ, এক নির্বাচন রীতি। এ বিষয়ে সরকার পক্ষের দাবি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বিপুল অঙ্কের খরচ হয়ে থাকে, তা অনেকটাই কমে যাবে।‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্র। গত মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যেখানে ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’-এর পক্ষে সায় দেওয়া হয়েছে। যদিও বিরোধী দলগুলি শুরু থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর বিরোধিতা করে এসেছে। বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছেন, এই নীতি ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রের পরিপন্থী।তবে বিরোধীদের আপত্তি নিয়ে সেভাবে মাথা ঘামাচ্ছে না মোদি সরকার। চলতি অধিবেশনের ১৪তম দিনে এক দেশ এক ভোটের প্রস্তাবে সায় দিল গোটা ক্যাবিনেট। শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল পেশ করা হতে পারে সংসদে। উল্লেখ্য, আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে অধিবেশন। তার মধ্যেই মহাগুরুত্বপূর্ণ এই বিল পাশ করিয়ে নিতে চেষ্টা করবে সরকার। আগামী সপ্তাহেই কি পেশ হবে এই বিল? উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছে।
ওয়ান নেশান, ওয়ান ইলেকশনে সম্মতি মোদির মন্ত্রীদের!
