বিল্ডিং বিভাগকে কড়া নির্দেশ মেয়রের, নির্মাণ করা যাবে না কমন প্যাসেজ


📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। কমন প্যাসেজে কোনও নির্মাণ করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই কমন প্যাসেজ সাধারণত দেখা যায় দু’টি বাড়ির মাঝে। আবার কয়েকটি বাড়ি মাঝে যে জায়গা। এমনকী কোনও জমিতেও যদি কমন প্যাসেজ থাকে তাহলে সেখানে কোনও নির্মাণ করা যাবে না। আর কেউ যদি এরপরও নির্মাণ করে থাকে তাহলে তা ভেঙে দিতে নির্দেশ দিলেন ফিরহাদ হাকিম। ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এমন একটি অভিযোগ আসার পরিপ্রেক্ষিতে বিল্ডিং বিভাগকে এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আর তাতেই এখন তোলপাড় অবস্থা।এই কমন প্যাসেজ দিয়ে মানুষজন যাতায়াত করেন। আবার সেখানে এলাকার মানুষের গাড়ি থাকে। তাই ওই ধরণের কমন প্যাসেজে ব্যক্তিগতভাবে কেউ নির্মাণ করতে পারে না। তাহলে অসুবিধায় পড়তে হয় মানুষজনকে। আর কমন প্যাসেজে নির্মাণ বেআইনি বলেই কলকাতা পুরসভার আইনে রয়েছে। আর সেটা মনে করিয়ে দিয়ে মেয়র বলেন, ‘‌বহু বছর ধরে ব্যবহৃত কোনও কমন প্যাসেজ নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। সেটা আর কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে পারে না। আর তাই কমন প্যাসেজ বন্ধ করে নির্মাণের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। এমন কোনও নির্মাণ করতে তাই নিষেধ করছেন বরো অফিসাররা।’‌আর কমন প্যাসেজে নির্মাণ করলে তা ভেঙে দিতে পারে কলকাতা পুরসভা। কারণ সেটি হবে বেআইই নির্মাণ। এবার জোকা এলাকার ১৪২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এমন বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে একটি ফোন আসে মেয়রের দুয়ারে। সেখানে জনৈক ওই ব্যক্তি জানান, কয়েকটি বাড়ির মাঝখানে কমন প্যাসেজে স্থানীয় এক জমির মালিক পাঁচিল তুলে দিয়েছেন। বহু যুগ ধরে ওই রাস্তা দিয়ে এলাকাবাসী যাতায়াত করতেন। এখন এই নির্মাণের জেরে সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। আর এই অভিযোগ শোনার সঙ্গে সঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বরো এক্সিকিউটিভ অফিসারকে কমন প্যাসেজে থাকা পাঁচিল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন।আর তার সঙ্গেই জানিয়ে দেন, কমন প্যাসেজে কোনও নির্মাণ করা যাবে না। কেউ করলে তা ভেঙে ফেলবে কলকাতা পুরসভা। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘‌কেউ দলিল করে কমন প্যাসেজ নিজের বলে দাবি করতে পারে না। আর যদি তা করে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন দেবেন না। কারণ ৩০–৪০ বছর ধরে ওই কমন প্যাসেজ ব্যবহার হয়ে সেটি অন্যান্য বাসিন্দাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে যায়। অনেক প্রোমোটার এখন সেগুলি দলিলের মধ্যে ঢুকিয়ে বিল্ডিং নির্মাণের অনুমোদন নিচ্ছেন। যদি দলিলের মধ্যে এসব থাকে তাহলে অনুমোদন দেবেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সেই ফাইল পাঠাবেন। সেখানে যা হওয়ার হবে।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This will close in 0 seconds