📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী মুস্তাকিন সর্দারকে শুক্রবার মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল বারুইপুরের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। ঘটনার ৬২ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হলো। এ দিন আত্মপক্ষ সমর্থনে মুস্তাকিন দাবি করেছিল, তার বাবা অসুস্থ। যদিও আদালতে দাঁড়িয়ে তার আইনজীবী বাবাকে ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেনি। সাজা ঘোষণার পর অঝোরে কাঁদেন নির্যাতিতার মা।
মহিলাদের বিরুদ্ধে যে কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি জ়িরো টলারেন্স, এই রায়কে সামনে রেখে সেকথা আবারও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘বারুইপুরের নৃশংস ঘটনার ৬২ দিনের মাথায় দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে বারুইপুরের পকসো আদালত। মাত্র দুই মাসের মধ্যে এই ধরনের একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া রাজ্যের ইতিহাসে কার্যত নজিরবিহীন।’ রাজ্য পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে মুস্তাকিনের সাজার মেয়াদ নিয়ে শুনানি হয়। সকাল ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয় শুনানি। দু’পক্ষের আইনজীবীর কথা শোনেন বিচারক। শুনানির শুরুতেই মুস্তাকিনের আইনজীবী তাঁর অল্প বয়সের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শুধরানোর সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানান। পাল্টা সরকারি আইনজীবী উল্লেখ করেন, নাবালিকাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। মেয়েটির শরীরে ৩৮টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। মুস্তাকিনকে ক্ষমা করা হলে ভবিষ্যতে আরও এই ধরনের ঘটনা ঘটবে বলে সওয়ালে বলেন সরকারি আইনজীবী। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছিল নির্ভয়া প্রসঙ্গও।
শেষমেশ সরকার পক্ষের আইনজীবীর ফাঁসির আবেদনই গ্রহণ করেছে আদালত। আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতা নাবালিকার মা। তাঁর চোখেও এ দিন জল দেখা যায়।