📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে আগেই মুখ খুলেছিলেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ফের আক্রমণ শানালেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে ‘গণহত্যার মূলচক্রী’ বলে উল্লেখ করলেন তিনি। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর লাগাতার আক্রমণ, মন্দির, গির্জায় হামলার ঘটনার জন্যও ইউনূস সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি।আমেরিকার নিউ ইয়র্কে আওয়ামি লিগের একটি সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্তৃতা করেন হাসিনা। তাতেই ইউনূস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। হাসিনার বক্তব্য, “আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলছে। আসল কথা হল, সমন্বয়কারী ছাত্রদের সঙ্গে মিলে, পরিকল্পিত ভাবে মহম্মদ ইউনূস গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। ওঁরাই মূলচক্রী।”এ প্রসঙ্গে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা BNP নেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের নামও নেন হাসিনা। তাঁর কথায়, “লন্ডন থেকে তারেক রহমান পর্যন্ত বলেছেন, এভাবে মৃত্যু ঘটে চললে এই সরকার টিকবে না।” অতি সম্প্রতিই গ্রেনেড বিস্ফোরণ মামলায় আদালতে মুক্তি পেয়েছন তারেক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফের তাঁর প্রত্যাবর্তনের জল্পনা শুরু হয়েছে। সেই আবহেই তারেকের নাম নিলেন হাসিনা।
সংরক্ষণবিরোধী আন্দোলন যখন চরমে, সেই সময় ভারতে চলে আসেন হাসিনা। সেই নিয়ে সমর্থকদের হাসিনা বলেন, “নির্বিচারে যখন মানুষজনকে হত্যা করা হচ্ছিল, আমি দেশছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমার ক্ষমতায় থাকার দরকার নেই। নিরাপত্তাকর্মীরা যদি গুলি চালাতেন, গণভবনে অনেকে মারা যেতেন। আমি সেটা চাইনি।” হাসিনার দাবি, সশস্ত্র ভিড়কে গণভবনে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তাঁকেও হত্যার ছক ছিল। হাসিনার কথায়, “২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে যাই আমি। নিরাপত্তাকর্মীদের বলেছিলাম, গুলি না চালাতে।” সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়ে হাসিনার বক্তব্য, “আজ শিক্ষক, পুলিশ সকলকে ধরে ধরে মারা হচ্ছে, তাঁদের উপর হামলা হচ্ছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের নিশানা করা হচ্ছে দেশে। গির্জা, মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। কেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের এভাবে নিশানা করা হচ্ছে?”
তবে হাসিনা যখন ইউনূসকে আক্রমণ করছেন, সেই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শ্বেতপত্র প্রকাশ করে তারা অভিযোগ করেছে যে, ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে হাসিনা সরকার ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) পাচার করেছে। ভারতের পাশাপাশি, আমেরিকা, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতেও টাকা পাচার হয় বলে দাবি করা হয়েছে।