📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: পানীয় জলের অপচয় রুখতে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবান্নে সোমবার সব জেলাশাসক, মুখ্যসচিব, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যেখানে জলের অপচয় হচ্ছে ডিএম, এসপি, বিডিও, পিডব্লিউডি, এগ্রিকালচার, সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেই সব জায়গায় সারপ্রাইজ ভিজিট করুন। কেউ সমঝোতা করলে তাঁর আগে চাকরি খাব। পানীয় জলের অপব্যবহার করলে সরকার সেটা সহ্য করবেন না। আইন সবার জন্যেই এক।’রাজ্যের কোন কোন জেলায় কত পরিমাণে পানীয় জলের অপব্যবহার নিয়ে অভিযোগ রয়েছে, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সব থেকে বেশি পানীয় জলের অপচয় নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান। জলের অপব্যবহার বা অপচয়ের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানত তিনটি কারণের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, কোথাও রাস্তায় জলের পাইপ কেটে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই কারণে গ্রামে জল ঢুকতে পারছে না। এছাড়াও একাধিক জায়গায় ঠিকাদাররা পাইপ বসালেও ঠিকমতো ফিল্ড সার্ভে করেননি। কিছু জায়গায় জলের পাইপ কেটে ব্যক্তিগতভাবে সেচের কাজে ব্যবহার করছেন অনেকেই।
জল জীবন মিশন প্রকল্পের আওতায় রাজ্যে গ্রামীণ প্রায় ১.৭৫ কোটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছনোর কথা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তা পৌঁছেছে ৯৩.৫০ লক্ষ পরিবারে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা অথৈ জলে। এই অবস্থায় পানীয় জল সরবরাহের কাজের অগ্রগতি ও অভিযোগ নিয়ে রিভিউ মিটিং করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ১৫৫ জন ঠিকাদার এবং ১৯ জন ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ করা হয়েছে।
পাশাপাশি, একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমতি না মেলায় বহু জায়গায় পানীয় জল পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রেল, ইন্ডিয়ান অয়েল, ডিভিসি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমতির অভাবে সব মিলিয়ে প্রায় ৯ লক্ষ পরিবার জল পাচ্ছে না। পানীয় জলের অভাবে ভুক্তভোগী প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। এ দিনের বৈঠকে মমতা উল্লেখ করেন, ‘আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি হোক, মানুষ জল পাক। শুধু পাইপ ফেলে রাখলে হবে না। অনবরত নজর রাখতে হবে।’