📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে ফিরে দমদম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হিংসা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এব্যাপারে মন্তব্য গিয়ে ‘ভারতের শাসকদল একটি সম্প্রদায়ের প্রতি প্রতিহিংসাপ্রবণ’ বলে মন্তব্য করলেন তিনি। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বলেন, ‘বাংলাদেশ তো একটা অন্য দেশ। ভারতবর্ষটা একটা অন্য দেশ। একটা দেশ আরেকটা দেশের সম্বন্ধে যদি কিছু করে সেটা সেই দেশকে করতে হয়। আমরা দুঃখিত। অনেক মানুষ আগেও মারা গেছেন। এখনো অত্যাচারিত হচ্ছে। আগেও আন্দোলনের ছাত্রছাত্রী মারা গেছে। আজও তার রেশ চলছে। আমরা তো কেউ ঘটনাটাকে সমর্থন করছি না। যে কোনও ঘটনাই যে কোনও ধর্মের উপরই হোক না কেন আমরা সেটাকে সমর্থন করি না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা খুবই নগণ্য। যেহেতু আমরা আলাদা দেশ। বাংলাদেশ আলাদা দেশ। এটা ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের সাথে কথা বলতে পারে। বলে অ্যাকশান নিতে পারে।’
এর পরে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করে মমতা বলেন, ‘আমরা এটুকু বলতে পারি যে আমরা এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স পলিসির ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের স্ট্যান্ড হচ্ছে, যে যখনই ক্ষমতায় থাকুক না কেন আমরা গভমেন্টের স্ট্যান্ডটাকে সাপোর্ট করি। কাজেই আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার। কোনও ধর্মের উপরে, কোনও বর্ণের ওপরে, কোনও জাতির উপরে কোন অত্যাচারই আমরা মানি না। না হিন্দু, না মুসলমান, না শিখ, না খ্রীষ্টান। আমরা সবাই এক। যে সব ঘটনা আজ নয় এক বছর ধরে হচ্ছে প্রত্যেকটা ঘটনার জন্যই আমরা দুঃখিত। দুঃখিত হলেও যেহেতু আমরা অন্য দেশের নাগরিক যেহেতু আমাদের রাজ্য সরকার আছে, কেন্দ্রীয় সরকারও আছে। সুতরাং ভারত সরকারের ম্যাটার বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলতে পারে। সেটেল করতে পারে। এক্ষেত্রে আমাদের তো কোনভাবে যুক্ত করা হয় না।’
এর পরই কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘আমরা জানি না, তিস্তার ব্যাপারে চুক্তি হয়ে গেছিল। আমাদের জানানো হয়নি। আমাদের দিক থেকে আমরা বাংলাদেশকে ভালবাসি। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই আমাদের ভারতকে ভালবাসে। বাংলা কেও ভালোবাসে। আমাদের ভাষা সাহিত্য পোশাক পরিচ্ছদ সব এক। রাজনৈতিকভাবে যাই মতভেদ থাকুক না কেন? আমরা চাই না কোনও ধর্মে ধর্মে বিভেদ হোক এবং তার কোন রেশ কারও ওপর পড়ুক এটা আমরা কখনোই চাই না। এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যারা আছেন তারাও তো পার্টিকুলার একটা ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড একটা ভিনডিক্টিভ অ্যাটিচিউড নেন। আমরা মনে করি কোনওটাই ঠিক নয়। মন্দিরও থাকবে, মসজিদও থাকবে, গুরুদুয়ারা থাকবে, গির্জাও থাকবে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমরা শান্তির পক্ষে, আমরা উন্নয়নের পক্ষে, ধর্মীয় মতামত প্রত্যকে যেন পালন করতে পারে তার স্বাধীনতা অনুযায়ী আমরা এটার পক্ষে।’সংসদে এব্যাপারে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, ‘পার্লামেন্টে যা স্ট্যান্ড নেওয়ার যেটা আমাদের ইন্ডিভিজুয়াল কারুর ম্যাটার নয়। এটা স্ট্যান্ড নেবে তৃণমূল কংগ্রেসের এর পার্লামেন্টের পার্টি চেয়ারম্যান, আমি। লোকসভায় আমাদের লিডার আছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। চিফ হুইপ আছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং রাজ্য সভায় আমাদের লিডার আছে ডেরেক ও ব্রায়েন। ডেপুটি লিডার আছে সাগরিকা। চিফ হুইপ আছে সম্ভবত রাজেন। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করলে তাদেরকে ওপেনিয়ন আমি দেব।’