আলুর দাম ফিরছে নাগালের মধ্যে!

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে আলুর দাম। এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই আলুর দাম যেন কোনওভাবেই ৩০ টাকার উপরে না যায় তা নিয়ে নবান্ন থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মুখ্যসচিব। একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, নিষেধাজ্ঞার পরেও যদি কেউ আলু রফতানি করে তাহলে সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সেই নির্দেশের পরেই এবার রাজ্যে কমতে চলেছে আলুর দাম।
নবান্ন থেকে কড়া বার্তা পাওয়ার পরে শনিবার হুগলির আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। বৈঠক শেষে তিনি জানান, ব্যবসায়ীরা আলুর দাম কমাতে রাজি হয়েছেন। প্রতি কেজিতে এক টাকা করে আলুর দাম কমানো হবে। বর্তমানে প্রতি কেজিতে ২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে জ্যোতি আলি। সেই আলু পাওয়া যাবে ২৬ টাকায়। আর কলকাতা এই আলু মিলবে ৩০ টাকায়। এদিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন মন্ত্রী। ব্যবসায়ীরা ছাড়াও ছিলেন টাস্ক ফোর্স এবং বিভাগের আধিকারিকরা। মন্ত্রী জানান, সোম-মঙ্গলবার থেকে বাজারে আলুর দাম কমতে শুরু করবে। আর কলকাতার বাজারে সোমবার থেকে এর প্রভাব পড়বে। সাধারণত হুগলি জেলায় প্রচুর পরিমাণে আলু উৎপাদন হয়। সেই আলু কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলার বাজারে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। শনিবারের বৈঠক শেষে ব্যবসায়ীরা জানান, জ্যোতি আলু ২৭ টাকার পরিবর্তে ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে বাজারে এই দামে আলু পাওয়া যাবে।
আলুর দাম কমানো নিয়ে শুক্রবার নবান্নে বৈঠকের পর মুখ্য সচিবের নির্দেশের কথা জানান কৃষি বিপণন মন্ত্রী। তিনি জানান, নবান্নের নির্দেশের কথা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এদিন বৈঠক করা হয়। কলকাতার বাজারে এই আলু ৩০ টাকা কেজি দরে পাওয়া গেলেও সুফল বাংলার স্টলে পাওয়া যাবে ২৮ টাকা কেজি দরে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা আলুর দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এই প্রতিশ্রুতির পরেও দাম না কমলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনওভাবেই আলুর পাইকারি দর ২৬ টাকা হলেও খুচরো বাজারে যেন দাম বেশি না নেওয়া হয় তা নিয়ে নজরদারি চালানো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *