📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: সদর্থক ভূমিকা নিয়েও পিছিয়ে গেল মেট্রো রেল। কিছুদিন আগেই মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার মতো ঘটনা ঠেকাতে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসানো হয় গার্ডরেল। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এই সদর্থক পদক্ষেপ করেছিল। যা দেখে নিত্যযাত্রীরাও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষকে। পুরনো প্ল্যাটফর্মে স্ক্রিন ডোর বসানো সম্ভব নয়। তাই গার্ডরেল বসিয়ে আত্মহত্যা ঠেকানোর কথা ভেবে ছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এবার সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়িত করতে গিয়ে মেট্রো কর্তারা দেখছেন, যতটা সহজ ভাবা হয়েছিল বিষয়টা ততটা সহজ নয়।নতুন যে প্ল্যাটফর্মগুলি তৈরি হচ্ছে সেখানে স্ক্রিন ডোর বসানো সহজ। তবে কলকাতা মেট্রোর উত্তর–দক্ষিণ শাখায় মোট তিন ধরনের এসি রেক চলে। এক, আইসিএফ ভেল, দুই, আইসিএফ মেধা এবং তিন, ডালিয়ান। কলকাতা মেট্রোর ভিড় এবং যাত্রী পরিষেবা নিয়ে সামঞ্জস্য রেখে এই তিন রেকে পর্যায়ক্রমে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভিড়ের সময় যাত্রীদের ওঠানামার সুবিধার জন্য দরজার পরিসর বাড়ানো। আর তার সঙ্গে আছে নানা বিষয়। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু ডালিয়ান রেকের দরজার পরিসর খানিকটা বেশি। সেক্ষেত্রে তিন ধরনের রেকের দৈর্ঘ্য ও দরজার মাপ হিসাব করে কালীঘাট স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দু’টি গার্ড রেলের মধ্যে বড় অংশ ফাঁকা রাখতে হচ্ছে। যেটা সমস্যার।
ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর ক্ষেত্রে রেকের দরজার তুলনায় প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর মাত্র ৬০ সেন্টিমিটার বেশি। আর কালীঘাটে সেই পরিসর এক লাফে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। তাই সেখানে গার্ড রেল বসিয়ে প্ল্যাটফর্ম সুরক্ষিত করার কাজে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ট্রেনের আসা–যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি নেই। তাই ওই সব গার্ডরেলের মাঝে বৈদ্যুতিন বুম বার বসানোর ব্যবস্থাও করা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে গার্ডরেল অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রীদের ওঠানামা ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে নতুন করে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে।তিন ধরণের রেকের দরজার পরিসর আলাদা করা, দু’টি দরজার মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে গিয়ে নানা ক্ষেত্রে কামরার দৈর্ঘ্যে বদল আনা হয়েছে। তাতে রেকের দৈর্ঘ্যও বেড়েছে। কিন্তু কেমন করে এই সমস্যা মেটানো যাবে সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। এই সমস্যা মেটাতে এখন নতুন করে চিন্তাভাবনা করছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই সমস্যার জেরে অর্ধেক জায়গায় গার্ডরেল আছে। বাকি জায়গা ফাঁকা। কালীঘাট স্টেশনে এখন গার্ড রেল বসানোর কাজ তাই সম্পূর্ণ করা যায়নি। সেক্ষেত্রে সদর্থক পদক্ষেপ করার পরও পিছিয়ে আসতে হল মেট্রো কর্তৃপক্ষকে।