📝শুভদীপ রায় চৌধুরী , Todays Story: নভেম্বরের শেষেই ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে শহর কলকাতায়। গত ১৪ নভেম্বর ২২.১ ডিগ্রি, ১৫ তারিখ আরও কমে দাঁড়ায় ২০ ডিগ্রিতে। আর গতকাল অর্থাৎ ১৬ নভেম্বর এবং ভোররাতে শহরের তাপমাত্রা নেমে এল ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মিটিওরোলজির তথ্য অনুযায়ী, ১৬ নভেম্বের আগে কলকাতার তাপমাত্রা শেষবার ১৯ ডিগ্রিতে ছিল গত ১০ মার্চ। অর্থাৎ ২৫২ দিন পর রাতের শহরে আবারও শীতের আমেজ ফিরে এল।
বলাবাহুল্য, শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রোদের ঝলকানি বুঝিয়ে দিচ্ছিল এত সহজে শীতের আমেজ শহরবাসীকে দিতে রাজি নয় প্রকৃতি। কিন্তু একই সঙ্গে বেলা ১২টা নাগাদও যে ভাবে উত্তর দিকের আরামদায়ক হাওয়া বইছিল তাতে বেশ খুসির আমেজ উপভোগ করতে শুরু করে শহরবাসী। এর পাশাপাশি, দেশের দক্ষিণে এখনও রয়েছে নিম্নচাপের দাপট।
উল্লেখ্য, তামিলনাডু এবং কর্নাটকে বজায় রয়েছে বৃষ্টির আবহ। কিন্তু উত্তর–পশ্চিমে কাশ্মীর, পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের দিকে আপাতত কোনও বাধা না থাকায় অনেকটাই অবাধ ঠান্ডা হাওয়ার গতিপথ। তারই দৌলতে রাতের তাপমাত্রায়ও এমন পতন।
তবে শুধুমাত্র কলকাতা নয়, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবতেই একই ভাবে নামতে শুরু করেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। একদিন আগে শুক্রবার ভোররাতের পরিস্থিতি সম্পর্কে হাওয়া অফিস জানায়, দক্ষিণের ১৫টি জেলার প্রায় সব ক’টিতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে এসেছিল। একদিন পর, শনিবার হাওয়া অফিস জানায়, একমাত্র সল্টলেক (২০.৩ ডিগ্রি) ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি যেখানে যেখানে ওয়েদার স্টেশন রয়েছে, তার প্রতিটিতেই রাতের তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি বা তারও নীচে নেমে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মৌসম ভবনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী শীতলতম ছিল পুরুলিয়া (১২.৯ ডিগ্রি)। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার নিরিখে আপাতত পশ্চিমের এই জেলার চেয়ে বেশি ঠান্ডা রেকর্ড হয়েছে একমাত্র দার্জিলিংয়ে (৯.৫ ডিগ্রি)। আবহবিবিদরা জানাচ্ছেন, ২০ নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও ২–৩ ডিগ্রি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা। সেই পূর্বাভাস মিললে, নভেম্বরেই হয়তো কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি নেমে যেতে পারে। আপাতত সমুদ্রে মেঘ জমার কোনও লক্ষণ নেই, তাই আগামী কয়েক দিনে আরও কিছুটা শীত উপভোগ করার আশায় বুক বাঁধতেই পারে কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গ।
দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রা, ২০ ডিগ্রিরও নীচে কলকাতার তাপমাত্রা
