এনাফ ইজ এনাফ! হোয়ার ইজ দ্য নেটওয়ার্ক? পুলিশকে কড়া বার্তা কলকাতার মহা নাগরিকের

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: কসবার অ্যাক্রোপলিস মল সংলগ্ন জনবহুল এলাকায় যেভাবে ভর সন্ধেয় ফিল্মি কায়দায় কাউন্সিলরকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, তাতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

শনিবার দুপুর। তখনও কসবা কাণ্ডের প্রধান মাথা মহম্মদ ইকবালের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ্যে আসেনি। তখনই সাংবাদিক বৈঠক থেকে পুলিশকে রীতিমতো তুলোধনা করেন ফিরহাদ।

পুলিশের নেটওয়ার্ক নিয়েই এদিন বড় প্রশ্ন তুলেছেন ফিরহাদ। একরাশ ক্ষোভ উগড়ে তিনি বলেন, “বাইরের ক্রিমিনাল বাংলায় এসে একের পর এক খুন করে চলে যাচ্ছে। এনাফ ইজ এনাফ! হোয়ার ইজ দ্য নেটওয়ার্ক?”

মুখ্যমন্ত্রী অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়ার পরও বাংলায় কীভাবে এত অপরাধ ঘটছে, এত বাইরে থেকে অস্ত্র ঢুকছে কীভাবে,পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রীর। ফিরহাদ বলেন, “বিহারের কালচার, উত্তরপ্রদেশের কালচার এখনে চলবে না, বাংলা ক্রিমিনালদের জায়গা নয়। কলকাতা পুলিশকে বলব এখনই সক্রিয় হতে।”

পুলিশকে দায়িত্ব বোঝাতে ক্ষুব্ধ মেয়র এও বলেন, “কলকাতার কোথাও জল না থাকলে সেটা দেখার দায়িত্ব কার? নিশ্চয়ই আমার। একইভাবে শহরে এত আর্মস ঢুকছে কী করে? মুঙ্গের থেকে আমর্স ঢুকছে বললে তো হবে না! সেটা বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। গুন্ডা দমনের কাজ ফিরহাদ হাকিম বা সুশান্ত ঘোষের নয়। এটা দেখার কাজ পুলিশের।”

পুলিশের উদ্দেশে ফিরহাদের এহেন বেনজির আক্রমণ সামনে আসতেই পাল্টা খোঁচা উড়ে এসেছে বিজেপি-সিপিএমকে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ফিরহাদ জেনে বুঝে বলেছেন কিনা জানি না, তবে ওনাকে বলব- পুলিশকে কেন বলছেন? পুলিশ কেন দুষ্কৃতী দমন করতে পারছেন না, তার কৈফিয়ৎ চান পুলিশ মন্ত্রীর কাছ থেকে।”

আরও একধাপ এগিয়ে , বিজেপির রাজ্য সভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য শহরের গুন্ডা রাজত্বের জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন। ফিরহাদ বলেন, “এই গুন্ডা রাজত্বের বাড়বাড়ন্তের জন্য তো দায়ী ফিরহাদ হাকিমেরাই। ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই তো এসব হচ্ছে। এখন সে সব অস্বীকার করলে হবে কি করে?”

বিরোধীদের আনা গোষ্ঠী তত্ত্বের অভিযোগ খারিজ করে ফিরহাদ অবশ্য বলেন, “আমাদের কোনও গোষ্ঠী নেই। আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোষ্ঠী। আমরা চায়, বাংলা ক্রিমিনাল মুক্ত হোক।”

এও মনে করিয়েছেন, “পলিটিকাল ছেলে ভয় পেয়ে থাকে না। পুলিশের গুলি খেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বলে ছিল সুশান্ত। তবে বিহারের কালচার বাংলায় চলবে না। এটা পুলিশকে মনে রাখতে হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This will close in 0 seconds