📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: বীরভূমে ফের তৃণমূলের অন্দরে সেই পুরনো লড়াই নতুন করে মাথাচাড়া দিতে চলেছে। একদিকে অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট।আর অপরদিকে কাজল শেখ। এতদিন জেলে ছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। তার জেরে ধীরে ধীরে নিজের আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছিল কাজল। কিন্তু কিছুদিন আগেই ফিরে এসেছেন কেষ্ট মণ্ডল। তিহাড় থেকে সোজা বীরভূম। একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিও পালন করেছেন। তবে সেখানে কাজল শেখকে একাধিক জায়গায় দেখা যায়নি। তখনই ইঙ্গিত মিলেছিল ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে। বুধবার সকালে আচমকাই বাইক মিছিল করে কঙ্কালীতলায় গিয়েছিলেন কাজল শেখ ঘনিষ্ঠ নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি। কঙ্কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে অনুগামীদের নিয়ে বৈঠকও করেছিলেন। তবে সেই বৈঠকে উপস্থিক ছিলেন না অনুব্রত অনুগামী উপপ্রধান।
এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই নানা চর্চা শুরু হয়েছে বীরভূম তৃণমূলের অন্দরে। প্রশ্ন উঠছে এই কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতে কার্যত ক্ষমতার রাশ রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ উপপ্রধান মামন শেখের হাতে। তবে কি মামনের হাত থেকে রাশ কেড়ে নিতেই কৌশলী চাল দিলেন কাজল ঘনিষ্ঠ বিধায়ক? তিনি এদিন উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠক করেন। কিন্তু সেখাে দেখা গেল না উপপ্রধানকে। এদিনের বৈঠকে কাজল ঘনিষ্ঠ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক নিয়ে মামন শেখ বলেন, পঞ্চায়েতে কোনও বৈঠক হয়েছে বলে জানি না। আমাকে ডাকা হয়নি। আমি ও বাকি সদস্যরা ছিলেন না। মামন বলেন, কেন ছিলাম না বলতে পারব না। তবে তিনি আমাদেরই বিধায়ক। কাজকর্ম দেখতে এসেছেন। আপত্তিটা কোথায়?
মিটিংয়ে ছিলেন না মামন সহ ১৭জন পঞ্চায়েত সদস্য। তবে সন্ধ্যায় তাদেরই দেখা গেল মিছিলে। সেখান থেকে স্লোগান তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ। বহিরাগতদের গুন্ডারাজ মানছিল না মানব না।
এদিকে এবার বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, ‘আমরা নেতা নই কেউ, নেতা একজনই—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবাই এখন কর্মী হয়ে লড়ব। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প আছে। উন্নয়ন চরম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। আমি আপনাদের মতোই একজন কর্মী। বুথ কর্মীরাই দল বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি কোনও নেতা নই। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’অনুব্রত মণ্ডল এর আগে জানিয়েছিলেন, ‘কোনও হানাহানি করবেন না। মারামারি করবেন না। সবাইকে কাছে টেনে নিন। দল তাহলে আরও বড় হবে। কার জন্য ঝগড়া করবেন? আমার জন্য। মন্ত্রীর জন্য ঝগড়া করতে হবে না। আমরা সবাই কর্মী হয়ে যাই। নেতা কেউ হবো না। আমাদের একজন নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা কর্মী থেকে মানুষের পাশে থাকব।’