‘নির্ভয় হয়ে গিয়েছেন মমতা’, বলছেন বিজেপির দিলীপ

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: রাজ্যে দুর্নীতির রকরমার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দায়ী করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, সিবিআই শাস্তি দিচ্ছে না বলেই রাজ্যে দুর্নীতি বাড়ছে। আগামী কয়েক বছর রাজ্যে এটাই চলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দিলীপবাবু বলেন, ‘আমফান, আবাস যোজনার টাকা অন্য লোকের অ্যাকাউন্টে চলে যায়। একজনের চাকরি অন্যজনের কাছে চলে যায়। পশ্চিমবঙ্গে এটা নতুন কিছু নয়। আর হচ্ছেও না কিছু। সরকার, তৃণমূল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত নির্ভয় হয়ে গেছেন কেন্দ্র টাকা দেবে এদিক ওদিক করে লুঠ করে নেও কারও বাপের সাধ্য নেই কিছু করে। এটা চলছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টে দেখলাম আরজি কর কাণ্ড কী হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে বঞ্চিতই হতে হবে। একটার পর একটা কেলেঙ্কারি হবে। আপনারা খবর করবেন, এর বেশি কিছু হবে না। সবে তো শুরু হয়েছে, ট্যাব কেলেঙ্কারি অনেক দূর যাবে। গরিব ছাত্রদের ভবিষ্যতের জন্য লোভ দেখিয়ে তাদের টাকা মেরে দেওয়ার মতো জঘন্য ঘটনা পশ্চিমবঙ্গেই ঘটতে পারে।’

দিলীপবাবুর দাবি, ‘যতগুলো দান খয়রাতের প্রকল্প আছে সব তৃণমূলের ক্যাডারদের পোষার জন্যই খরচ হচ্ছে। লুঠ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ওপরের নেতারা কোটি কোটি নিচ্ছেন, নীচের নেতারা লাখ লাখ নিচ্ছেন। এভাবেই চলছে। সব পার্টির লোকেরাই করছে। তারা জানে যে কেউ গায়ে হাত দিতে পারবে না। কারণ তাদের হাতে আইনশৃঙ্খলা প্রশাসন রয়েছে। তারা কিছু করবে না। আর কোর্ট যে আদেশ দিচ্ছে সিবিআইয়ের তারও কোনও সম্ভাবনা দেখছি না আমরা। কারণ কাউকে শাস্তি দিচ্ছে না। তাই আরও বেড়ে যাচ্ছে। এখন সাধারণ মানুষকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সমস্ত সুবিধার টাকা লুঠ হতে থাকবে। দেড় – ২ বছর মানুষকে এটাই দেখতে হবে।’

বুধবারের ভোটগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সব জায়গায় বুথ স্তরে গন্ডগোল হয়েছে! বাঁকুড়ার তাল ডাংরার এমপিকেই বের করে দিতে হয়েছে বুথ থেকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কারা কোন স্তরে গিয়ে রিগিং করছে! দাদাগিরি করছে।’
বর্ধমান – দুর্গাপুর লোকসভা ভোটে পরাজয় সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘হারের কিছু পর্যালোচনা হয়েছে, কিছু পর্যালোচনা চলছে। হারের কারণ অনেক কিছু ছিল তার মধ্যে অন্যতম আমাদের পার্টির দুর্বলতা ছিল। অনেক কর্মীরা ভয়ের মধ্যে ছিলেন ভিতরে ভিতরে তারা চুপ করেছিল তাদেরকে ভয় দেখানো হয়েছিল। যাদের ভয় দেখানো হয়েছিল তারা আগে কিছু বলেনি এখন বলছে। অন্তরঘাত ছিল দুর্বলতা ও ছিল। পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যাপারও ছিল সবমিলিয়ে যেটা কেউ কল্পনা করতে পারেনি সেই রকম হার হয়েছে।’

এদিন বিসি রোডের বিভিন্ন দোকানে দোকানে ঢুকে মোবাইলে সদস্যপদ গ্ৰহণ করান দিলীপ বাবু। সদস্য পদ সংগ্রহের পর বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাধারন মানুষদের মায়ের ভোগ খাওয়ান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *