বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া এখন পর্যন্ত উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ

📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: আর জি কর কাণ্ডের পর এই প্রথম ভোট রাজ্যে। ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন বুধবার। নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ শুরুর প্রথম কয়েকঘণ্টা নির্বিঘ্নেই কেটেছে বলে দাবি কমিশনের।

দক্ষিণবঙ্গের মেদিনীপুর, নৈহাটি, হাড়োয়া, তালডাংরা এবং উত্তরবঙ্গের সিতাই ও মাদারিহাটে ভোটগ্রহণ চলছে। এখানকার বিধায়করা সবাই লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এবং তাঁরা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও বসিরহটের সাংসদ হাজি নুরুল প্রয়াত হয়েছেন। তিনি হাড়োয়ার বিধায়ক ছিলেন।

বুধবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ পর্ব। কয়েকটি জায়গায় EVM-এর সমস্যা হলেও পরে তা পরিবর্তন করে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়।

ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই কয়েকটি জায়গায় রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। সকাল থেকেই বুথ জ্যাম ও ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। যদিও শাসক দলের তরফে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

এই উপনির্বাচনে আলাদাভাবে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়েও বেশ জলঘোলা হয়েছিল। পরিবর্তে CPIM লিবারেশনও এই উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। নৈহাটি কেন্দ্রে বামেদের তরফে লিবারেশন প্রার্থী দিয়েছে।

উপনির্বাচনের ৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাদারিহাটে জয়ী হয়েছিলেন মনোজ টিগ্গা। বর্তমানে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ হয়েছেন তিনি। উপনির্বাচনে ওই আসন ধরে রাখা BJP-র কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রথম কয়েক ঘণ্টা পেরিয়েছে। যদিও এখন থেকেই আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতৃত্ব। ছটি কেন্দ্রের শাসক দলের নেতারা দাবি করেছেন, জয়ের ব্যাপারে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপনির্বাচনে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

রাজনৈতিক মহলের মত, একদিকে তৃণমূল যখন জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী, ঠিক এই পরিস্থিতিতে RG কর ইস্যুকে নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছে বামফ্রন্ট। এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে তারা। পাশাপাশি নতুন প্রদেশ কংগ্রেস শুভঙ্কর সরকারের কাছেও কঠোর লড়াই। কারণ দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই প্রথম ভোট তাঁর কাছে। এই পরিস্থিততে কোন দলের দিকে পাল্লা ভারী তা পরিষ্কার হবে ২৩ শে নভেম্বর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This will close in 0 seconds