📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: ভোটে জিতেছেন। মসনদ দখল হয়ে গেছে। এবার পালা আসনে বসার। সে জন্য যেতে হবে ওয়াশিংটন ডিসি, দেখা করতে হবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। তবে কখন হবে সেই সাক্ষাৎ, সেই নিয়েই জল্পনা ঘনিয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি মহলে।
জল্পনার কারণ রয়েছে বই কি। কারণ ট্রাম্পের ক্ষমতায় বসা নিয়েই যে কেবল উৎসাহ, তা নয়। ট্রাম্প আমেরিকার দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার প্রভাব পড়বে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে ইজরায়েল ইরান সংঘাত, হামাস, হিজবুল্লা, তালিবান এবং পাকিস্তান, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক—এই সব কিছুই নির্ধারণে একটা বড় ভূমিকা নেবে ট্রাম্পের শাসন। বলাই বাহুল্য, ভারতের স্বার্থও এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
যেমন ট্রাম্পের জয়ের পরে আফগানিস্তানের শাসক তালিবান ইতিমধ্যেই ট্রাম্পকে মনে করিয়ে দিয়েছে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়েই আফগানিস্তানের মাটি থেকে সেনা সরিয়েছিল আমেরিকা। ফলে অনেকেই মনে করছেন, ওয়াশিংটন-কাবুল সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক ভাবনা মাথায় রাখছে তালিবান।
তালিবান সরকারের মুখপাত্র আবদুল কাহার বলখির কথায়, ‘দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের স্বার্থে ওয়াশিংটন বাস্তববাদী পথেই এগোবে বলে আমরা আশাবাদী।’
পিছিয়ে নেই পাকিস্তানও। ট্রাম্পকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ককে আরও মজবুত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের ঐতিহাসিক জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই। …পাকিস্তান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও জোরদার এবং সম্প্রসারিত করার জন্য আমি নতুন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
কেবল আফগানিস্তান বা পাকিস্তান নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিনও। বুধবারই চিনা বিদেশ দফতরের তরফে বলা হয়, ‘আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি মেনে চলবে চিন। …এই ফলাফল বেজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।’
অন্যদিকে, প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসও ট্রাম্পের জয়ের পরেই বিশেষ বার্তা দিয়েছে নতুন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে। জো বাইডেনের ‘ভুলের পুনরাবৃত্তি’ না করার জন্য অর্থাৎ ইজরায়েলকে সমর্থন না করার জন্য ট্রাম্পকে সতর্ক করেছে হামাস।