📝শুভদীপ রায় চৌধুরী , Todays Story: নৈহাটির বড়মার পুজোকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। রবিবারও বড়মাকে দেখার জন্য হাজার হাজার ভক্ত হাজির হয়েছিলেন। আজ বড়মার বিদায় যাত্রা। বিসর্জনের সময়ও ভক্তদের ঢল নামে অরবিন্দ রোড-সহ গোটা অঞ্চল জুড়ে। রবিবার থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিল ব্যারাকপুর পুলিস এবং নৈহাটি পুরসভা।
প্রসঙ্গত, নৈহাটিতে বড়মার বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোনও কালী প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হয় না। বড়মা মন্দির কর্তৃপক্ষের সূত্রে খবর, সোমবার মায়ের পুজো হবে নিয়ম মেনে। চিরাচরিত রীতি মেনেই মেয়েদের পরিবর্তে ছেলেরাই বড় কালীকে বরণ করবেন। প্রায় ৩০০ কেজি সোনা এবং রুপোর অলঙ্কার মায়ের শরীর থেকে খুলে ফুলের মালায় সাজানো হবে মাকে৷ ওই গয়না এ দিনই ব্যাঙ্কের লকারে জমা করা হবে। বিকেল চারটে নাগাদ বড়মাকে মণ্ডপ থেকে বের করে নৈহাটি ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই বড়মাকে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিসর্জনের জন্য এক হাজারের বেশি পুলিস মোতায়েন থাকবে বলেই জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। এছাড়া গঙ্গাবক্ষে থাকবে পুলিসের কড়া নজরদারি। সেই সঙ্গে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সকলেই যাতে মায়ের বিসর্জন দেখতে পান সেজন্য অরবিন্দ রোডের ধারে চারটি জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে বলেই খবর।
মূলত, বড়মা অরবিন্দ রোড ধরে যখন বিসর্জনের পথে রওনা হন তখন রাস্তার দু’পাশের বাড়ি থেকে বাতাসা ছোড়ার রেওয়াজ রয়েছে। এবার মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই রেওয়াজে পরিবর্তন আনছেন। রাস্তার দু’পাশের বাড়িগুলিতে এ দিন সকাল থেকে ফুল বিলি করা হবে। যাতে বাতাসার বদলে মানুষ বড়মাকে উদ্দেশ্য করে ফুল ছোড়েন। এ বিষয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সোমবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়ে যাবে বড়মার বিসর্জনের প্রস্তুতি। আমরা পুলিস প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করবো। যাতে কোনও অঘটন না ঘটে।’
বড়মার বিসর্জন ঘিরে মোতায়েন থাকছে এক হাজারেরও বেশি পুলিস, গঙ্গার ঘাটে থাকছে কড়া নিরাপত্তা

