📝 নিজস্ব সংবাদদাতা, Todays Story: তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দুবাবুর দাবি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়েছিলেন অতীন ঘোষ। সেই প্রস্তাব নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন তিনি।
শুক্রবার কোলাঘাটে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আমার সঙ্গে কোলাঘাটে থার্মাল পাওয়ারের গেস্ট হাউজ়ে দেখা করেছিলেন অতীন ঘোষ। সঙ্গে আরও কয়েকজন কলকাতার তৃণমূলের বড় নেতা ছিল। আমি তাদের নাম আজকে বলতে চাই না। খোঁচালে পরে বলব। অতীন ঘোষ খুঁচিয়েছেন তাই বলছি। তিনি বলে গিয়েছিলেন যে যদি তাঁকে কাশীপুর – বেলগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের টিকিট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না দেয় তাহলে তিনি বিজেপির টিকিটে লড়বেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা কোনও ভাবে জেনে গেছিলেন। তাই মালা সাহা, তরুণ সাহার মতো রাজনৈতিক নেতাকে ওখানে রাজনৈতিক কোতল করে অতীন ঘোষকে টিকিট দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টির লোকেরাও আমার সঙ্গে বসেছিল। মমতা ব্যানার্জি তাদের ম্যানেজ করেছে।’
পালটা অতীন ঘোষের দাবি, ‘শুভেন্দু অধিকারী যতদিন দলে ছিল ততদিন তার সাথে যোগাযোগ। দল ছাড়ার পর একদিনও তার সাথে আমি কথা বলিনি। তবে শুভেন্দু অধিকারী যখন দল ছাড়বেন ছাড়বেন করছেন তখন আমি বলেছিলাম শুভেন্দুর মতো কর্মীকে আটকানোর জন্য দলের তৎপর হওয়া উচিত।’
গত বৃহস্পতিবার দলের এক বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে নাম না করে অতীন ঘোষ বলেন, ১৩ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ফোন করে বলেন। কারা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ৫ বার মিটিং করেছে খোঁজ নে তো। বলা বাহুল্য তাঁর নিশানা ছিল কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কাকলি সেন ও তাঁর স্বামী তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের দিকে।
শুভেন্দুর দাবি নিয়ে মহা অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। দলের তরফে জানানো হয়েছে, অতীন ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে শুভেন্দু যে দাবি করেছেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করবে না দল। তবে দল প্রত্যাশা করে অতীনবাবু সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি স্পষ্ট করবেন।